ফের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের কর্মকর্তার স্বাক্ষর জাল ও সীল ব্যবহার করে ভুয়া আদেশে উপবৃত্তির টাকা আত্মসাতের তথ্য উঠে এসেছে। জানা গেছে, জাল স্বাক্ষর ও ভুয়া সীল ব্যবহার করে ফরিদপুর কৃষি প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের ৮৩ জন শিক্ষার্থীর ১ বছরের সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের তফসিলী উপবৃত্তির আদেশ জারি করা হয়েছে।
সোমবার (১৬ জুলাই)মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক মো: মাহাবুবুর রহমান স্বাক্ষরিত এ সংক্রান্ত একটি চিঠি ফরিদপুর কৃষি প্রশিক্ষণ ইনিস্টিটিউটের অধ্যক্ষকে পাঠানো হয়েছে।
চিঠিতে বলা হয়, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের কর্মকর্তার স্বাক্ষর জাল ও ভুয়া সীল ব্যবহার করে উপবৃত্তির ভুয়া আদেশ জারি করা হয়েছে। এ আদেশে কৃষি প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের ৮৩ জন শিক্ষার্থীর ১ বছরের সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের তফসিলী উপবৃত্তির এক লাখ ছিয়ানব্বই হাজার টাকার একটি চেক জেলা হিসাব রক্ষণ অফিস থেকে ইস্যু করা হয়। চিঠিতে কৃষি প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের অধ্যক্ষকে জেলা হিসাব রক্ষণ অফিস থেকে ইস্যুকরা এক লাখ ছিয়ানব্বই হাজার টাকার চেকটি সরকারি কোষাগারে ফেরতের নির্দেশ দিয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর। চেক ইস্যুর চালানের কপিটি সংরক্ষণ করতেও বলা হয়েছে অধ্যক্ষকে। এছাড়া চিঠিতে জাল স্বাক্ষর ও সীল ব্যবহার করে জারি করা ভুয়া উপবৃত্তির আদেশ সম্পর্কে সকলকে সতর্ক করা হয়েছে।
এছাড়া মাধ্যমিক উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের বৃত্তি সংক্রান্ত সকল আদেশ অধিদপ্তরের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয় বলে জানানো হয়েছে চিঠিতে। উপবৃত্তি সংক্রান্ত অফিস আদেশের বিপরীতে কোন প্রকার বিল প্রস্তুত, দাখিল বা উত্তোলন এবং আর্থিক লেনদেনে সতর্কতা অবলম্বন করতেও সংশ্লিষ্ট সকলরের প্রতি অনুরোধ করেছে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর।