মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) কে নিয়ে ফ্রান্সে ব্যঙ্গচিত্র প্রদর্শন এবং এর রেশ ধরে দেশটির প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল মাখোঁর ‘ইসলামবিদ্বেষী’ অবস্থানের প্রতিবাদে ঢাকায় বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে ইসলামী আন্দোলন। সমাবেশে দলের আমির ও চরমোনাইয়ের পীর সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করিম ফ্রান্সের বিরুদ্ধে জাতীয় সংসদে নিন্দা প্রস্তাব গ্রহণ করতে সরকারের কাছে দাবি জানিয়েছেন। একই সাথে আগামী ২৯ অক্টোবর সারাদেশে বিক্ষোভ মিছিল, ৩০ অক্টোবর সব মসজিদ থেকে ইমাম ও খতিবদের নেতৃত্বে মিছিল এবং ১৩ নভেম্বর রাজধানীর ধোলাইরপাড়ে ‘মূর্তিবিরোধী’ সমাবেশ কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছে।
রাজধানীতে জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের উত্তর গেটে আজ মঙ্গলবার দুপুরে এক বিক্ষোভ মিছিল–পূর্ব সমাবেশে সৈয়দ রেজাউল করিম এ দাবি জানান।
এর আগে সকালে ইসলামী আন্দোলনের নেতা-কর্মীরা ঢাকায় ফ্রান্স দূতাবাস ঘেরাও কর্মসূচি উপলক্ষে বায়তুল মোকাররম মসজিদের উত্তর গেটে জমায়েত হন। সেখান থেকে মিছিল নিয়ে পল্টন মোড়, বিজয়নগর, কাকরাইল হয়ে শান্তিনগর পৌঁছালে পুলিশ কাঁটাতারের ব্যারিকেড দিয়ে তাদের আটকে দেয়। সেখানে দলের আমির সংক্ষিপ্ত বক্তব্য দেন। ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত হানার প্রতিবাদে ফ্রান্সের পণ্য বর্জনে একাত্মতা ঘোষণা করেন রেজাউল করিম। চরমোনাইয়ের পীর এই ঘটনার জন্য ফ্রান্স সরকারের কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে কড়া প্রতিবাদ জানাতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।
মহানবী (সা.)–এর ব্যঙ্গচিত্র প্রকাশের প্রতিবাদে ইসলামী আন্দোলন তিন দিনের কর্মসূচি দিয়েছে। কর্মসূচির অংশ হিসেবে ২৯ অক্টোবর সারাদেশে বিক্ষোভ মিছিল, ৩০ অক্টোবর সব মসজিদ থেকে ইমাম ও খতিবদের নেতৃত্বে মিছিল এবং ১৩ নভেম্বর রাজধানীর ধোলাইরপাড়ে ‘মূর্তিবিরোধী’ সমাবেশের ঘোষণা দেওয়া হয়।