চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) দায়িত্বপ্রাপ্ত উপাচার্য অধ্যাপক ড. শিরীণ আখতার বলেছেন, আমার কখনোই গাড়ি বিলাস ছিলো না। বই বিলাস ছাড়া আমার অন্য কোনো বিলাস নেই। জন্মের পর থেকেই গাড়ি দেখে আসছি এবং চড়ে আসছি। আমি উপ উপাচার্য থাকাকালীনও বাসে করে ঢাকায় যাতায়াত করেছি। এখনো অনেক সময় শুক্রবারে গাড়ি বন্ধ রেখে ট্যাক্সিতে যাতায়াত করি।
শনিবার বিকালে বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্যের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। “ভারপ্রাপ্ত উপাচার্যের গাড়ি বিলাস” শিরোনামে ১৮ অক্টোবর একটি জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদে এই সম্মেলন হয়।
এ সময় তিনি আরও বলেন, উক্ত সংবাদটি মিথ্যা, বিভ্রান্তিকর ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। আমি উপাচার্যের চলতি দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে পুরোনো গাড়িই ব্যবহার করছি। এছাড়া অফিশিয়াল কাজে ঢাকায় থাকলে অন্য একটি গাড়ি ব্যবহার করি। আমি উপাচার্যের দায়িত্বে আসার পর আগের বাজেটের টাকায় উপ উপাচার্যের জন্য একটি গাড়ি কেনা হয়েছে। কিন্তু এখনো গাড়ি ব্যবহার শুরু হয়নি।
এছাড়া লিখিত বক্তব্যে ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর রেজাউল করিম বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের বরাদ্দকৃত অর্থের মাধ্যমে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ফাইনান্স কমিটি ও সিন্ডিকেটের যৌথ সভার অনুমোদনক্রমে উপ উপাচার্যের জন্য ৯০ লাখ ৬৮ হাজার টাকা দিয়ে গাড়ি ক্রয় করা হয়। যা বিশ্ববিদ্যালয় গাড়ি ক্রয় কমিটির যথাযথ প্রক্রিয়া মেনেই ক্রয় করা হয়েছে। কিন্তু উক্ত সংবাদে বলা হয়েছে দায়িত্বপ্রাপ্ত উপাচার্য ৩টি গাড়ি ব্যবহার করেন। এ বক্তব্যটি মিথ্যা ও বানোয়াট। চলতি দায়িত্বপ্রাপ্ত উপাচার্য শুধু একটি গাড়িই ব্যবহার করেন। বর্তমানে যে গাড়িটি ক্রয় করা হয়েছে তা আগের বাজেটের বরাদ্দকৃত টাকায়। এটি এখনো ব্যবহার শুরু হয়নি। এছাড়া কথা না বলেই সংবাদে পরিবহন দপ্তরের প্রশাসক আবু তাহের চৌধুরীর একটি বক্তব্য ছাপা হয়েছে বলে জানান তিনি।
সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন, ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার কে এম নূর আহমেদ, ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর রেজাউল করিম, সহকারী প্রক্টর মোহাম্মদ ইয়াকুব, হানিফ মিয়া ও রিফাত আহমেদ প্রমুখ।