জাতির পিতা এবং মহান মুক্তিযুদ্ধের অবমাননাকারী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. মোর্শেদ হাসান খানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল গঠন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। রোববার অনুষ্ঠিত বিশ্ববিদ্যালয় সিন্ডিকেট সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান বলেন, অধ্যাপক মোর্শেদ হাসান খানের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেয়া যেতে পারে সে বিষয়ে এ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম আইনি প্রতিবেদন জমা দিয়েছেন। তারই ভিত্তিতে ট্রাইব্যুনাল গঠিত হয়েছে। একজন সিন্ডিকেট সদস্য, একজন সিনেট সদস্য ও অভিযুক্ত অধ্যাপক ড. মোর্শেদ হাসানের পক্ষে একজন প্রতিনিধির সমন্বয়ে ট্রাইব্যুনাল গঠিত হয়েছে। এটি তিন সপ্তাহের মধ্যে সুপারিশ করবে। সেই অনুযায়ী সিন্ডিকেট অভিযুক্তের বিরুদ্ধে শাস্তি নিরুপণ করবে।
সিন্ডিকেট সভা সূত্র জানা গেছে, এ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম বিএনপি-জামায়াতপন্থি শিক্ষক প্রমাণ তুলে ধরে তাকে চাকরিচ্যুতি করার সুপারিশ করেছেন। তবে টাইব্যুনালের এক শিক্ষককে নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন সিন্ডিকেট সদস্যরাই। কারণ তিনি সিন্ডিকেট সভাতে ওই শিক্ষকের পক্ষে অবস্থান নিয়ে বক্তব্য দিয়েছেন। যা নিয়ে আওয়ামীপন্থি সদস্যরা অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন। ঐ শিক্ষকের আওয়ামী প্যানেলে থাকা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন তারা।
প্রসঙ্গত, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কেটিং বিভাগের অধ্যাপক ও বিএনপি-জামায়াতপন্থি সাদা দলের অন্যতম নেতা ড. মোর্শেদ হাসান খান জাতির জনক বঙ্গবন্ধু ও তার কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সম্পর্কে চরম ঔদ্ধত্যপূর্ণ বক্তব্য এবং মহান মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃতি করে গত বছরের ২৬ মার্চ দৈনিক নয়াদিগন্ত পত্রিকায় ‘জ্যোতির্ময় জিয়া’ শিরোনামে এক নিবন্ধ লিখেন। এই ঘটনায় মোর্শেদ হাসানকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বরখাস্তসহ তিন দফা দাবিতে উপাচার্য বরাবর স্মারকলিপিও দিয়েছিল। কর্তৃপক্ষ ঘটনাটি তদন্তে করতে পাঁচ সদস্যবিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে। তদন্ত কমিটি মার্কেটিং বিভাগের অভিযুক্ত শিক্ষক অধ্যাপক ড. মোর্শেদ হাসান খানের বিরুদ্ধে ওঠা সকল অভিযোগের সত্যতা পেয়েছে।