১৯৭৫ খ্রিষ্টাব্দের ১৫ আগস্টের পর সারাদেশে তৈরি হয়েছিল ভীতিকর আবহ। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যার পর খুনিচক্রের ভয়ে অনেকেই বঙ্গবন্ধুর নাম উচ্চারণ করতে পারত না। সেই পরিস্থিতি এখন আর নেই। বঙ্গবন্ধু দিনে দিনে স্বমহিমায় উজ্জ্বল হয়ে উঠছেন জাতির সামনে। বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে পরবর্তী প্রজন্মের মধ্যে ছড়িয়ে দিতে জাতীয় গ্রন্থকেন্দ্রের আয়োজনে পাঁচ দিনের বঙ্গবন্ধু বিষয়ক বই প্রদর্শনী ও বঙ্গবন্ধুর লেখা ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’ পাঠ প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছে।
রাজধানীর শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় চিত্রশালা প্লাজায় রোববার থেকে শুরু এ অনুষ্ঠান বইপ্রেমীদের জন্য পাঁচ দিনই উন্মুক্ত থাকবে। এ সময় নিজের পছন্দের বা প্রয়োজনীয় বইও কিনতে পারবে দর্শনার্থীরা। শিল্পকলার জাতীয় চিত্রশালা প্লাজায় বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে এ বই প্রদর্শনীতে বাংলা একাডেমি, শিশু একাডেমি, ইসলামিক ফাউন্ডেশন, শিল্পকলা একাডেমি, বাংলাদেশ জ্ঞান ও সৃজনশীল প্রকাশক সমিতি, বাংলাদেশ পুস্তক প্রকাশক ও বিক্রেতা সমিতি ও জাতীয় গ্রন্থকেন্দ্র স্টল দিয়েছে।
পাঁচ দিনের আয়োজনে ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’ পাঠে অংশ নিচ্ছে ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জের পাঁচটি স্কুলের ৫০ শিক্ষার্থী। স্কুলগুলো হচ্ছে রাজধানীর রাজউক উত্তরা মডেল কলেজ, আজিমপুর গভর্নমেন্ট গার্লস স্কুল অ্যান্ড কলেজ, মোহাম্মদপুর প্রিপারেটরি স্কুল অ্যান্ড কলেজ, বিয়াম স্কুল অ্যান্ড কলেজ এবং নারায়ণগঞ্জ হাই স্কুল অ্যান্ড কলেজ। পাঠে অংশ নেয়া শিক্ষার্থীরা ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’ পাঠ করে নিজেদের প্রতিক্রিয়াও তুলে ধরবে বিচারকমণ্ডলীর সামনে।
সংস্কৃতিসচিব আবু হেনা মোস্তফা কামাল গতকাল সকালে প্রধান অতিথি হিসেবে এ প্রদর্শনী ও প্রতিযোগিতার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন। জাতীয় শোক দিবস ও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৪তম শাহাদাতবার্ষিকী উপলক্ষে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের পৃষ্ঠপোষকতায় বাংলাদেশ জ্ঞান ও সৃজনশীল প্রকাশক সমিতি এবং বাংলাদেশ পুস্তক প্রকাশক ও বিক্রেতা সমিতির সহযোগিতায় জাতীয় গ্রন্থকেন্দ্র পাঁচ দিনের এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে।
জাতীয় গ্রন্থকেন্দ্রের পরিচালক কবি মিনার মনসুরের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন বাংলাদেশ পুস্তক প্রকাশক ও বিক্রেতা সমিতির সহসভাপতি শ্যামল পাল এবং বাংলাদেশ জ্ঞান ও সৃজনশীল প্রকাশক সমিতির সিনিয়র সহসভাপতি মিলন কান্তি নাথ। স্বাগত বক্তব্য দেন জাতীয় গ্রন্থকেন্দ্রের উপপরিচালক সুহিতা সুলতানা।