বরগুনার পাথরঘাটা উপজেলার ১নং রায়হানপুর ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ড কড়াইতলা গ্রামের ফরেষ্ট বিভাগে সার্ভেয়ার পদে কর্মরত মো. রেজাউল হক (সামসু) এর সৌদি প্রবাসী ছেলে মো. ফেরদৌস বিদেশ থেকে প্রতারণার মাধ্যমে ফরেস্ট বিভাগের মৌখিক ও লিখিত নিয়োগ পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এঘটনায় একই এলাকার প্রয়াত আবুল হাসেমের ছেলে মো. মোসলেম প্রধান বন সংরক্ষণ কার্যালয় ও দুর্নীতি দমন কমিশন প্রধান কার্যালয়সহ একাধিক দপ্তরে লিখিত অভিযোগ করেছেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, উল্লেখিত ফেরদৌস ২০১৯ খ্রিষ্টাব্দে সৌদি আরব যান। অথচ আজ পর্যন্ত বাড়ি না আসলেও যথাক্রমে গত ১৩ ও মার্চ ২০ তারিখে ফরেস্ট বিভাগের সহকারী কাম কম্পিউটার পদে মৌখিক ও লিখিত নিয়োগ পরীক্ষায় তিনি উত্তীর্ণ হয়েছেন। বিষয়টি এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে আলোচনার ঝড় ওঠে।
অভিযোগকারীসহ এলাকার একাধিক ব্যক্তি বলেন, ফেরদৌসের পিতা মো. রেজাউল হক সামসু ফরেস্ট বিভাগের সার্ভেয়ার পদে পটুয়াখালীতে কর্মরত থাকার সুবাদে ক্ষমতার অপব্যবহার করে এবং প্রতারণার মাধ্যমে ছেলের পরিবর্তে অন্য লোক দিয়ে উল্লেখিত পদে আবেদন করাসহ মৌখিক ও লিখিত নিয়োগ পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করিয়ে উত্তীর্ণ করিয়েছেন।
তারা বলেন, এই বে-আইনি কাজে ফরেষ্টে বিভাগের অসাধু আরও কোনো কর্মকর্তা জড়িত থাকতে পারে।
এ ব্যাপারে ফেরদৌসের পিতা রেজাউল হক সামসু বলেন, আমার ছেলে ১৩ মার্চ ঢাকায় এসে পরীক্ষা দিয়ে পরের দিন ১৪ মার্চ বিদেশ চলে গেছে।
তবে বন বিভাগের অন্য কর্তারা কেউ মুখ খুলতে রাজি হননি। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কর্মকর্তা জানান, এমন ঘটনা অবশ্যই তদন্ত হবে।