কুড়িগ্রামে সবগুলো নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। এ বন্যায় প্রায় দুই লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। আর মানুষের দুর্ভোগের পাশাপাশি জেলার ৯ উপজেলার ৪০৫টি প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ইতোমধ্যেই কর্তৃপক্ষ পাঠদান কার্যক্রম স্থগিত ঘোষণা করেছে।
কুড়িগ্রাম জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. শহিদুল ইসলাম দৈনিকশিক্ষা ডটকমকে জানান, বন্যার পানি প্রবেশে করায় কুড়িগ্রাম জেলার ৯ উপজেলায় ২৮৪টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাঠদান স্থগিত করা হয়েছে। তবে, চিলমারী ও উলিপুর উপজেলায় বন্যা পরিস্থিতির বেশি অবনতি হয়েছে। এ দুই উপজেলার চিলমারীতে ৫৬টি ও উলিপুরে ৫১ টি করে বিদ্যালয়ে বন্যার পানি ডুকেছে। অন্যদিকে সদর উপজেলায় ৩৫টি, ভুরুঙ্গামারী উপজেলায় ১১টি, নাগেশ্বরী উপজেলায় ৩৪টি, ফুলবাড়ী উপজেলায় ৮টি, রাজারহাট উপজেলায় ৬টি, রৌমারী উপজেলায় ৩৮টি এবং রাজিবপুর উপজেলায় ৩৬টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পাঠদান কার্যক্রম স্থগিত রয়েছে। এসব স্কুলে বন্যার পানি ঢুকে পড়ায় সাময়িকভাবে শ্রেণি পাঠদান কার্যক্রম বন্ধ রাখা হয়েছে। এছাড়াও বন্যার পানিতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ৭টি স্কুল এবং শুধুমাত্র নদী ভাঙ্গনে বিলীন হয়েছে ২ টি প্রাথমিক বিদ্যালয়। এছাড়াও পাঠদান বন্ধ থাকা প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে প্রতিষ্ঠান প্রধানদের বন্যার্তদের পাশে থাকার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে বলে দৈনিকশিক্ষা ডটকমকে জানিয়েছেন কুড়িগ্রামের জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা।
এছাড়া বিদ্যালয় প্রাঙ্গন ও শ্রেণিকক্ষে বন্যার পানি প্রবেশের কারণে জেলায় ১২১টি মাধ্যমিক স্কুল, কলেজ ও মাদরাসায় পাঠদান স্থগিত রাখা হয়েছে। তবে এদের মধ্যে ৫৪টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বন্যার্তদের আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে।
কুড়িগ্রাম জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা শামসুল আলম দৈনিকশিক্ষা ডটকমকে জানান, শিক্ষা অধিদপ্তরের নির্দেশনা অনুযায়ী বন্যার পানি প্রবেশ করায় যেসব হাইস্কুল, কলেজ ও মাদরাসা সাময়িকভাবে বন্ধ রাখা হয়েছে সেসব প্রতিষ্ঠানের প্রধান ও একজন পিয়নকে সার্বক্ষণিক বন্যার্ত মানুষের পাশে থাকার জন্য বলা হয়েছে।