সিলেটের ওসমানীনগরে বন্যার জলে শ্রেণিকক্ষ তলিয়ে যাওয়ায় ৩২ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পাঠদান কর্মসূচি বন্ধ রাখা হয়েছে। তার মধ্যে ২৫টি প্রাথমিক ও ৭টি মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। বন্যার জল নেমে গেলে এসব প্রতিষ্ঠানে আবার পাঠদান শুরু হবে।
জানা যায়, বন্যার কারণে রহমতপুর আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়, বেগমপুর শরৎ সুন্দরী আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়, এহিয়া চৌধুরী উচ্চ বিদ্যালয়, সিকন্দরপুর আবদুল হাফিজ উচ্চ বিদ্যালয়, চাতলপাড় দাখিল মাদরাসা ও খাদিমপুর নছিব উল্যা উচ্চ বিদ্যালয়ের শ্রেণিকক্ষ পানিতে তলিয়ে যাওয়ার কারণে পাঠদান বন্ধ করে দেয়া হয়।
এছাড়া একই কারণে সৈয়দপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, ইব্রাহিমপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, হলিমপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, কিয়ামপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, সুন্ধিখলা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, রহমতপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, দক্ষিণ কালনিচর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ ২৫টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পাঠদান বন্ধ রাখা হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা স্বপন কুমার চক্রবর্ত্তী এবং প্রাথমিক শিক্ষাকর্মকর্তা দিপালী রায়।
এদিকে গতকাল বুধবার (১৭ জুলাই) কুশিয়ারা নদীর পানি ২ সেন্টিমিটার কমলেও লোকালয়ে পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে বলে জানিয়েছেন এলাকাবাসী। এতে বন্যায় আক্রান্ত ৫ ইউনিয়নের কয়েক সহস্রাধিক মানুষ রয়েছেন দুর্ভোগে। ইতোমধ্যে ৫টি ইউনিয়নের বন্যা দুর্গত দরিদ্র পরিবারের মধ্যে সরকারিভাবে ১৪ মেট্রিকটন চাল বিতরণ করা হয়েছে।
ওসমানীনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ আনিছুর রহমান বলেন, বন্যার পানি স্থিতিশীল অবস্থায় রয়েছে। বন্যাক্রান্তদের মধ্যে ১৪মেট্রিক টন চাল বিতরণ করা হয়েছে এবং আরো ৫টন চাল বরাদ্দ পাওয়া গেছে। বন্যা পরিস্থিতি মোকাবেলায় উপজেলা প্রশাসন সর্বদা প্রস্তুত রয়েছে বলে জানান তিনি।