বরগুনা জেলা দায়রা জজ কোর্ট থেকে পালিয়ে গেছে ইভটিজিং মামলার এক আসামি। বুধবার (২৩ মে) দপুরে এ ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, মঙ্গলবার(২২ মে) বরগুনা সদর উপজেলার ২ নং গৌরিচন্না ইউনিয়নের গোলাম সরোয়ার ডাক্তার বাড়ির সামনে বসে ৭ম শ্রেণির ছাত্রী লিজাকে ইভটিজিং করার প্রতিবাদ করলে লিজার ভাই রাকিবকে মারধর করে কালাইমুদাফাত গ্রামের আবদুর রাজ্জাক মিয়ার ছেলে মেহেদী (১৫), ছোট গৌরিচন্নার বারঘরের আঃ রাজ্জাকের ছেলে তানভির (১৫), গিলাতলী গ্রামের বাচ্চু মিয়ার ছেলে সোহাগ মিয়া (১৫) ও সরিষামুড়ি ইউনিয়নের মো. শাহ আলমের ছেলে আবু হাসান (১৫)।
খবর পেয়ে গৌরিচন্না নওয়াব সলিমুল্লাহ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. নাজমুল ফারুক ও ম্যানেজিং কমিটির সদস্যরা মিলে রাকিব ও লিজাকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য বরগুনা হাসপাতালে ভর্তি করেন।
রাকিব গৌরিচন্না নওয়াব সলিমুল্লাহ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ১০ শ্রেণির ছাত্র ও লিজা ৭ম শ্রেণির ছাত্রী। পরে ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নাজমুল ফারুক বাদি হয়ে বরগুনা থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। পুলিশ মেহেদীসহ তানভীর ও সোহাগ নামের আরো দু’জনকে জনকে গ্রেফতার করে। বুধবার সকালে আসামীদের কোর্টে হাজির করার সময় ডাব খাওয়ার কথা বলে কোর্ট হাজতখানার সামনে থেকে দৌড়ে পালিয়ে যায় মেহেদী। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত মেহেদীকে ফের আটক করতে পারেনি পুলিশ।