দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের কৃষি শিক্ষার সর্ব্বোচ্চ বিদ্যাপীঠ সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (সিকৃবি) এক দশক পার করেছে। বহুমাত্রিক সাফল্য ও অমিত সম্ভাবনা নিয়ে এগিয়ে চলা এ প্রতিষ্ঠানের একদশক পূর্তি বর্ণাঢ্য আয়োজনে পালিত হয়েছে। শনিবার দশকপূর্তি অনুষ্ঠান উপলক্ষে দুই হাজারেরও বেশি শিক্ষার্থীর প্রাণের উচ্ছ্বাসের মিলনমেলায় পরিণত ক্যাম্পাস।
সকাল ৯টায় নগরীর চৌহাট্টাস্থ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার থেকে শুরু হয় বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা। নানা রঙে ও পোশাকে সজ্জিত হয়ে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. গোলাম শাহি আলমের নেতৃত্বে শোভাযাত্রাটি জিন্দাবাজার, বন্দরবাজার, ধোপাদীঘিরপার হয়ে সিলেট নগরীর গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে ক্যাম্পাসে ফিরে আসে।
এসময় উপস্থিত ছিলেন রেজিস্ট্রার মো. বদরুল ইসলাম শোয়েব, পরিচালক (ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা) অধ্যাপক ড. মো. মতিয়ার রহমান হাওলাদার, প্রক্টর অধ্যাপক ড. মৃত্যুঞ্জয় বিশ্বাস, বিভিন্ন অনুষদের ডিন, দপ্তর প্রধান, শিক্ষক-কর্মকর্তা ও কর্মচারী ও ৬ অনুষদের শিক্ষার্থীরা।
শোভাযাত্রা শেষে সিকৃবি ক্যাম্পাসের প্রশাসন ভবনের সামনে বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্মদিনের কেক কাটা হয় ও মিষ্টি বিতরণ হয়।
এদিকে বর্ষপূর্তি উপলক্ষ্যে সিকৃবি ফটোগ্রাফিক সোসাইটি আলোকচিত্র প্রদর্শণীর আয়োজন করে। ক্যাম্পাসের লেক সাইডে শিক্ষার্থী-শিক্ষক ও কর্মকর্তাদের তোলা ছবি স্থান পেয়েছে এই প্রদর্শনীতে। বিভিন্ন অনুষদ থেকে প্রকাশিত দেয়াল পত্রিকা শনিবার উন্মোচন করা হয়। সন্ধ্যায় ক্যাম্পাসে আয়োজন করা হয় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের।
দুদিনব্যাপী আনন্দ আয়োজনের অংশ হিসেবে রোববার দুপুর তিনটায় ক্রীড়া প্রতিযোগিতার ফাইনাল অনুষ্ঠিত হবে।
সন্ধ্যা ৬টায় প্রশাসন ভবনের সামনে নির্মিত মঞ্চে গান গাইবে শিরোনামহীন, কাইটস ও মেট্রোনম। ক্যাম্পাসের এই আনন্দ উৎসবে যোগ দিতে ইতোমধ্যে সাবেক সিকৃবিয়ানরা বাংলাদেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে সিলেটে ছুটে এসেছেন।
২০০৬ সালের ২ নভেম্বর ৫০ একর জমি নিয়ে সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস যাত্রা করেছিল। মূল ক্যাম্পাসের বেশির ভাগ জমি টিলা ও জঙ্গলবেষ্টিত। শিক্ষক বা শিক্ষার্থীরা গবেষণার জন্য জমি গতবছর বহিঃক্যাম্পাস হিসেবে ফেঞ্চুগঞ্জ-তামাবিল বাইপাস সড়ক সংলগ্ন খাদিমনগর এলাকায় ১২.২৯ একর জায়গা অধিগ্রহণ করা হয়।