গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বশেমুরবিপ্রবি) দীর্ঘ ৯ বছর পর কংক্রিটের শহীদ মিনার নির্মিত হয়েছে। এই শহীদ মিনার নির্মাণের আগে কাঠের তৈরি একটি নড়বড়ে অস্থায়ী শহীদ মিনারেই বাঙালি জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করতো বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
গত ১১ নভেম্বর ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের আঘাতে কাঠের তৈরি শহীদ মিনারটি ভেঙে যাওয়ায় শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস ও বিজয় দিবসকে সম্মানের সঙ্গে পালন করার জন্যে মাত্র ৭ দিনেই তৈরি করা হয়েছে এ শহীদ মিনার।
এদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়মানুযায়ী চলতি ভারপ্রাপ্ত উপাচার্যের টেন্ডার প্রদানের ক্ষমতা না থাকার পরও এত অল্প সময়ে শহীদ মিনার নির্মাণ করায় সকলের শ্রদ্ধা ও প্রশংসায় ভাসছেন প্রফেসর ড. মো. শাহজাহান।
এ বিষয়ে তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের মাস্টার প্ল্যানে যে শহীদ মিনারটির নকশা রয়েছে সেটির নির্মাণ কাজ আরও পরে শুরু হবে। আপাতত শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদনের উদ্দেশ্যে স্বল্প সময়ে এই শহীদ মিনারটি নির্মাণ করা হয়েছে।
এদিকে শহীদ মিনার নির্মিত হওয়ায় আনন্দোচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা। বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থী মনোজিত আউলিয়া বলেন, দীর্ঘ ৯বছর পরে বঙ্গবন্ধুর নামাঙ্কিত বিশ্ববিদ্যালয়ে শহীদ মিনার নির্মাণ হওয়ায় ৫৫ একরের ১২ হাজার শিক্ষার্থী সত্যি গর্বিত। আমরা প্রশাসনের এমন মহৎ কর্মোদ্যোগকে সাধুবাদ জানাই।
ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থী জাহাঙ্গীর আলম জানান, সদিচ্ছা থাকলে সবই সম্ভব। খুবই অল্প সময়ে এমন একটি উপহার (শহীদ মিনার) অবশ্যই প্রশংসার দাবি রাখে। শিক্ষার্থীদের সবগুলো চাহিদা অতিদ্রুত পূরণ হোক সেই চাওয়াটাই রইলো প্রশাসনের কাছে।
উল্লেখ্য, বিশ্ববিদ্যালয়টির সাবেক উপাচার্য খোন্দকার নাসিরউদ্দিনের সময়কালে শহীদ মিনারের নির্মাণ কাজ শুরু না হলেও মাস্টার প্ল্যানের নকশার শহীদ মিনার ২০১৫ খ্রিষ্টাব্দ থেকে নির্মাণাধীন দেখানো হয়। কিন্ত টেন্ডার প্রদানের আগেই ২০১৮ খ্রিষ্টাব্দ পর্যন্ত এর ব্যয় প্রায় ১ কোটি ৬৩ লাখ টাকা দেখানো হয়েছিল।