বন্ধে হলে প্রায়ই গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বশেমুরবিপ্রবি) চুরির ঘটনা ঘটে। এবার বিশ্ববিদ্যালয়টির কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগার থেকে ৪৯ টি কম্পিউটার চুরি হয়েছে। তবে এ ঘটনায় কোনো সিসিটিভি ফুটেজ উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি।
সোমবার বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন আইন অনুষদের ডিন মো. আবদুল কুদ্দুস মিয়াকে সভাপতি ও রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. মো. নূরউদ্দিন আহমেদকে সদস্য সচিব করে ৭ সদস্যের একটি তদন্ত দল গঠন করেছে। তদন্ত দলকে সাত কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে। এছাড়া কম্পিউটার চুরির ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলে জানা যায়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী নিরাপত্তা কর্মকর্তা তরিকুল ইসলাম বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩০ জন গার্ডের মধ্যে ২০ জন গার্ড জুলাই মাসের ২৩ তারিখ থেকে কোনো নির্দিষ্ট কারণ না জানিয়েই অনুপস্থিত ছিলেন। তাই নিরাপত্তাজনিত কিছুটা সমস্যা ছিলো। চুরির বিষয়ে জানার পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করা হয়েছে। সিসিটিভিতে ২৭ জুলাই থেকে সকল ঘটনার ভিডিও ফুটেজ রয়েছে। এসময়ে কোনো চুরির ঘটনা ঘটেনি। ঐ মাসের ২০ তারিখ পর্যন্ত সবকিছু ঠিক ছিলো। ধারণা করা হচ্ছে ২০ থেকে ২৭ তারিখের মধ্যবর্তী সময়ে এই চুরির ঘটনা ঘটেছে।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ও তদন্ত দলের সদস্য সচিব অধ্যাপক ড. মো. নূরউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘ঈদের ছুটি শেষে রবিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্যক্রম শুরু হওয়ার পরে কম্পিউটার চুরির বিষয়টি সম্পর্কে কর্তৃপক্ষ অবগত হয়। এ ঘটনায় মামলা মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে এবং বিশ্ববিদ্যালয় থেকেও তদন্ত করা হচ্ছে।’
গোপালগঞ্জ সদর থানার ওসি মনিরুল ইসলাম বলেন, ‘চুরির ঘটনা জানতে পেরে আমরা ঘটনাস্থলে পরিদর্শন করেছি। লিখিত অভিযোগ পেলে মামলা দায়ের করা হবে।’
প্রসঙ্গত, এর আগেও বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকটি চুরির ঘটনায় মামলা হলেও কাউকে শনাক্ত কিংবা গ্রেফতার করা হয়নি এবং বিশ্ববিদ্যালয়ে সিসিটিভি থাকলেও বিভিন্ন ঘটনার পরে অধিকাংশ সময়ে সেগুলোর ফুটেজ উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি।