টাকা আত্মসাৎ মামলার সাজা ও গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হওয়ার পরও বহাল তবিয়তে রয়েছেন নেত্রকোনার মদন উপজেলার বাস্তা গ্রামের ইসলামিয়া দাখিল মাদরাসার সুপার আজিজুল হক। মাদরাসা থেকে নিয়মিত বেতন-ভাতাও তুলছেন তিনি। এ নিয়ে মামলার বাদী ও এলাকার জনসাধারণের মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
জানা গেছে, মদনের তিয়শ্রী ইউনিয়নের বাস্তা ইসলামিয়া দাখিল মাদরাসার সুপার মো. আজিজুল হকের বাড়ি কেন্দুয়া উপজেলার বিদ্যাবল্লভ গ্রামে। তিনি ২০১৭ সালের আগস্ট মাসে কেন্দুয়া পৌরসদরের আরামবাগ এলাকার ওয়াহিদুজ্জামানের কাছ থেকে ৫ লাখ ৪০ হাজার টাকা ঋণ নেন। পরবর্তীতে ২০১৮ সালের ২০ মে অগ্রণী ব্যাংক তিয়শ্রী বাজার শাখার অনুকূলে সমপরিমাণ টাকার একটি চেক দেন ওয়াহিদুজ্জামানকে। কিন্তু ওয়াহিদুজ্জামান ব্যাংকে চেক জমা দিয়ে দেখেন আজিজুল হকের সঞ্চয়ী হিসাব নম্বরে পর্যাপ্ত টাকা নেই। এ কারণে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ চেকটি ২০১৮ সালের ৪ জুন প্রত্যাহার (ডিজঅনার) করেন। এ অবস্থায় পাওনাদার ওয়াহিদুজ্জামান আদালতের শরণাপন্ন হন। মামলার প্রেক্ষিতে আদালত ২০২০ সালের ৬ আগস্ট আজিজুল হককে ৬ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড ও ৫ লাখ ৪০ হাজার টাকা অর্থ দণ্ডে দণ্ডিত করেন। রায়ের পর থেকে সুপার আজিজুল হক পলাতক রয়েছেন। এদিকে আবার মাদরাসা থেকে নিয়মিত বেতন-ভাতাও তুলছেন।
বাস্তা ইসলামিয়া দাখিল মাদরাসার অ্যাডহক কমিটির সভাপতি আব্দুস ছালাম খান সেলিম বলেন, আমরা আদালতের কোনো নির্দেশ পাইনি। তিনি গত মাস পর্যন্ত বেতন তুলেছেন। কেন্দুয়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. হাবিবুল্লাহ খান আদালতের রায়ের সত্যতা স্বীকার করে বলেন, সুপার আজিজুল হক পলাতক। তাকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।