বাংলাদেশ-তুরস্ক কারিগরি ইনস্টিটিউট (বিটিটিআই) উদ্বোধন করেছেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক। শুক্রবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় লালমনিরহাটের হাতীবান্ধার প্রাণকেন্দ্রে বড়খাতায় এ কারিগরি ইনস্টিটিউটটি উদ্বোধন করেন তিনি।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রতিমন্ত্রী পলক বলেন, ‘আইসিটি ও কারিগরি শিক্ষার ব্যাপক প্রসার ও উৎসাহ যোগানের উদ্দেশ্যে প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে শহরে ছুটে বেরিয়েছি। সম্পূর্ণ ব্যক্তি উদ্যোগে গড়ে ওঠা উত্তর অঞ্চলের কারিগরি প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ-তুরস্ক কারিগরি প্রযুক্তি ইনস্টিটিউটের জন্য সফলতা কামনা করছি।’
প্রতিষ্ঠানটির পরিচালক ইফতেখার হোসেন মাসুদ প্রতিষ্ঠানটির ভবিষ্যৎ কর্মপরিকল্পনা সম্পর্কে বলেন, পুরোপুরি অরাজনৈতিক প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ-তুরস্ক প্রযুক্তি ইনস্টিটিউট। গেল বছর যাত্রার শুরু থেকে বিভিন্ন সময়োপযোগী কোর্সে শিক্ষিত বেকার শিক্ষার্থীদের ট্রেনিংয়ের ব্যবস্থা করেছি। দক্ষ প্রশিক্ষক দ্বারা মানসম্মত ট্রেনিংয়ের মাধ্যমে বর্তমান তরুণ-যুবসমাজকে প্রযুক্তি নির্ভর শিক্ষায় সুশিক্ষিত করে স্বনির্ভর করতেই আমাদের এই প্রয়াস।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন তুরুস্কের রাষ্ট্রদূত মুস্তাফা ওসমান তুরান, লালমনিরহাট-১ (হাতীবান্ধা-পাটগ্রাম) আসনের সংসদ সদস্য মো. মোতাহার হোসেন এমপি, তুরস্ক সরকারের দাতা সংস্থা টিকার বাংলাদেশ প্রধান ইসমাইল গুনদৌদু, প্রতিষ্ঠানটির পরিচালক ও কম্পিউটার প্রকৌশলী ইফতেখার হোসেন মাসুদ, বড়খাতা ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ নুর-ই এলাহী বকুল, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এ্যাড মতিয়ার রহমান, জেলা প্রশাসক মো. আবু জাফর, জেলা পুলিশ সুপার আবিদা সুলতানা, সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মো. শওকত আলী, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সামিউল আমিন, থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা, বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধান, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও তৃণমূলের অনেক নেতা-কর্মীসহ ৫ শতাধিক শিক্ষার্থী এবং এলাকার গণ্যমাণ্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, প্রতিষ্ঠানটির প্রতিষ্ঠাতা ও পরিচালক ইফতেখার হোসেন মাসুদের উদ্যোগে, শিক্ষিত তরুণ-যুবসমাজকে মানসম্মত প্রযুক্তি শিক্ষায় দক্ষ করে স্বনির্ভর করতে গত বছর ছোট পরিসরে যাত্রা শুরু করে প্রতিষ্ঠানটি। যাত্রার শুরু থেকে কম্পিউটার প্রশিক্ষণ কোর্স, সেলাই মেশিন, গ্রাফিক্স, ইংরেজি, কোরিয়ান ভাষা শিক্ষা কোর্সসহ বেশ কয়েকটি যুগোপযোগী কোর্সে প্রায় ৫ শত শিক্ষার্থীকে বিভিন্ন শিফটে নিয়মিত প্রশিক্ষণ দেয়া হচ্ছে।