যুগোপযোগী উচ্চশিক্ষা গ্রহণের জন্য দিন দিন আকর্ষণীয় দেশের তালিকায় স্থান করে নিচ্ছে বাংলাদেশ। বিশ্বের ৩৫টি দেশের প্রায় দুই হাজার ৪৩৮ শিক্ষার্থী বর্তমানে বাংলাদেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করছেন। দেশ যেভাবে এগিয়ে যাচ্ছে, তাতে আগামী কয়েক বছরে এ সংখ্যা দ্বিগুণের বেশি হবে। বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ১২তম আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থী সম্মেলনে এসব কথা বলেন বক্তারা।
ঢাবির মোজাফ্ফর আহমেদ চৌধুরী মিলনায়তনে বিদেশি ও দেশি শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে দিনব্যাপী এ সম্মেলনের আয়োজন করে রানার বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট সোসাইটি ও ফেডারেশন অব ইন্টারন্যাশনাল স্টুডেন্ট অ্যাসোসিয়েশনস (ইউডিইএফ)। সম্মেলনে অতিথি ছিলেন ঢাকা মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. খান আবুল কালাম আজাদ, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জাতিসংঘ উইংয়ের মহাপরিচালক নাহিদা সোবহান, রেলওয়ে মন্ত্রণালয়ের উপসচিব আতিকুর রহমান, বাংলাদেশে নিযুক্ত তুরস্কের ডেপুটি হেড অব মিশন এনিস ফারুক এরদেম, ইউডিইএফের ভাইস প্রেসিডেন্ট আসলান বেকিরোগলু, রানার বাংলাদেশের নির্বাহী পরিচালক শাফীকুল হাসান ও পরিচালক আশরাফী হাসান প্রমুখ।
সম্মেলনে বিভিন্ন সেশন পরিচালনা করেন ব্রিটিশ কাউন্সিলের উচ্চশিক্ষাবিষয়ক প্রধান তৌহিদুর রহমান, বাংলাদেশ ইনিশিয়েটিভ ফর পলিসি অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের (বিআইপিডি) নির্বাহী পরিচালক আবদুল্লাহ যোবায়ের ও পার্টনারশিপ স্পেশালিস্ট জিনাত সুলতানা। সম্মেলনে বাংলাদেশের শিক্ষা ব্যবস্থার উন্নতির পাশাপাশি বিদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য উচ্চশিক্ষার সুযোগ-সুবিধা ও সম্ভাবনার কথা তুলে ধরা হয়।
শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে অধ্যক্ষ আবুল কালাম আজাদ বলেন, শিক্ষা গ্রহণের উদ্দেশ্যে পৃথিবীর যেখানেই যাওয়ার প্রয়োজন পড়বে, সেখানেই যেতে হবে। বাংলাদেশের শিক্ষা ব্যবস্থার অগ্রগতি সম্পর্কে তিনি বলেন, বাংলাদেশ আগে কৃষিনির্ভর দেশ ছিল। কৃষকরা প্রকৃতির ওপর নির্ভরশীল ছিলেন। এখন অবস্থা পাল্টেছে। এর পেছনে রয়েছে যুগোপযোগী জ্ঞান। এখন আমাদের দেশে অসংখ্য স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় এমনকি কারিগরি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীন নার্সিং কলেজও রয়েছে। আমরা শিক্ষার্থীদের জানার সুযোগ সৃষ্টি করেছি। এখানে তোমরা যত পারো শেখো। একজন মানুষের শিক্ষা গ্রহণের জন্য সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকার করা উচিত।
নাহিদা সোবহান বলেন, বাংলাদেশে যে বিদেশি শিক্ষার্থী রয়েছেন, তারা এখান থেকে বাস্তব জীবন সম্পর্কে অনেক শিক্ষা নিতে পারেন। তারা এখানে বন্ধুত্বের মূল্য বুঝতে শেখেন। এ ছাড়া যে কোনো প্রতিকূল পরিবেশে মানিয়ে নেওয়ার শিক্ষাও বাংলাদেশ থেকে তারা নিতে পারেন। এখন উচ্চশিক্ষা গ্রহণের জন্য বাংলাদেশ বিদেশি শিক্ষার্থীদের কাছে আকর্ষণীয় হয়ে উঠছে। আশা করি, আগামী কয়েক বছরে এ দেশে বিদেশি শিক্ষার্থীর সংখ্যা দ্বিগুণ হবে।