জাতিসংঘের জনসংখ্যা তহবিলের (ইউএনএফপিএ) বার্ষিক প্রতিবেদন অনুযায়ী, বাংলাদেশে মাধ্যমিক শিক্ষায় ভর্তির হার এখনও উল্লেখযোগ্যভাবে কম, তবে অতীতের তুলনায় ভালো। শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) ইউএনবিতে এ সংক্রান্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করে।
প্রতিবেদনে আরো বলা হয়, ‘স্টেট অব ওয়ার্ল্ড পপুলেশন রিপোর্ট ২০১৯’ অনুযায়ী, ২০১৭ সালে বাংলাদেশে মাধ্যমিকে ৫৭ শতাংশ ছেলে শিশু এবং ৬৭ শতাংশ মেয়ে শিশু ভর্তি হয়েছে। অথচ ১৯৯৯ সালে মেয়েদের ভর্তির হার ৪৩ শতাংশ ছিল।
শিক্ষা উপমন্ত্রী মুহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল বলেন, ‘এটি সরকারের একটি বিশাল অর্জন।’
তিনি উল্লেখ করেন, মাধ্যমিক স্কুলে মেয়েদের ভর্তির হার বৃদ্ধি প্রমাণ করে যে বাংলাদেশে নারী শিক্ষা একটি নতুন উচ্চতায় পৌঁছেছে।
তিনি বলেন, ছেলে শিক্ষার্থীদের স্কুল থেকে ঝরে পড়ার (ড্রপআউট) উচ্চ হারের কারণ খুঁজে বের করার জন্য কাজ করছে সরকার এবং বিষয়টি সমাধানের জন্য ‘বৈজ্ঞানিক উপায়’ গ্রহণ করা হবে।
এদিকে প্রাথমিক স্কুলে মেয়েদের ভর্তির হার উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। ২০১৭ সালে এটি ৯৮ শতাংশে দাঁড়িয়েছে, যা ১৯৯০ সালে ছিল ৪৫ শতাংশ। অন্যদিকে ২০১৭ সালে ছেলেদের ভর্তির হার ছিল ৯২ শতাংশ।
মাধ্যমিক শিক্ষায় ভর্তির হার নিম্ন হওয়ার পেছনে কারণ হিসেবে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণের অভাবকে তুলে ধরেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের সহকারী অধ্যাপক দেবদাস হালদার।
তিনি বলেন, প্রাথমিকের তুলনায় মাধ্যমিকের শিক্ষায় কম মনোযোগ দেয়া হয়। এছাড়া মাধ্যমিক শিক্ষার খরচ বেশি হওয়ার কারণে অনেক ক্ষেত্রেই অভিভাবকরা তাদের সন্তানদের মাধ্যমিক স্কুলে ভর্তি করা থেকে বিরত থাকেন। তিনি উল্লেখ করেন, বাংলাদেশে বাল্যবিয়ের উচ্চ হারও স্কুল ড্রপআউটের প্রধান কারণগুলোর মধ্যে অন্যতম।
উপমন্ত্রী নওফেল বলেন, প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্কুলে ভর্তির হারের মধ্যে পার্থক্য দূর করতে সরকার কাঠামোগত পরিবর্তন আনা ও সমর্থন বাড়ানোর কথা বিবেচনা করছে। ‘কাঠামোগত নীতি কিছু ক্ষেত্রে ভালো ফলাফল এনেছে। এখন আমরা সকল স্টেকহোল্ডারকে সম্পৃক্ত করে একটি টার্গেট পলিসি ধরে এগিয়ে যেতে চাই,’ বলেন তিনি।