ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের 'বি' ইউনিটের ফল প্রকাশিত হয়েছে। এতে এমসিকিউ অংশে বাংলায় ২৫ এর মধ্যে ০.২৫ পেয়ে মেধা তালিকায় ৩০৮তম স্থান পেয়েছেন এক পরীক্ষার্থী। তিনি প্রথম শিফটে পরীক্ষায় অংশ নেন। এছাড়াও ইংরেজিতে ২৫ নম্বরের মধ্যে -১.২৫ পেয়ে দ্বিতীয় শিফটের প্রথম অপেক্ষমাণ তালিকায় ৪৩৪ মেধাক্রমে রয়েছেন একজন। বৃহস্পতিবার (১৫ নভেম্বর) বিকেল ৪টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে এ ফল প্রকাশ করে কর্তৃপক্ষ।
প্রকাশিত ফলে দেখা যায়, ০০৬৭৪ রোলধারী আসমা খাতুন লিখিত পরীক্ষায় ৭ নম্বর পেয়ে তার মোট প্রাপ্ত নম্বর ৫৪.১২০। দ্বিতীয় শিফটে ১৩৪০৪ রোলধারী মিরাজুল ইসলাম ইংরেজিতে ২৫ এর মধ্যে -১.২৫ পেয়ে ১ম অপেক্ষমাণ তালিকায় ৪৩৪ স্থান পেয়েছেন। তিনি বাংলায় ১৭.৮, সাধারণ জ্ঞানে ৬.২৫ এবং লিখিত পরীক্ষায় ৪ পেয়েছেন। ২য় শিফটে ৩৪৮ জনকে মেধাক্রম এবং ৩৪৯-১০৬২ পর্যন্ত অপেক্ষমাণ তালিকায় রাখা হয়েছে। অর্থাৎ -১.২৫ পেয়েও মিরাজুলের চান্স পাওয়ার সম্ভাবনা অনেক। এছাড়াও ২৬১৯ রোলধারী ১ম শিফটে ইংরেজিতে ১.২৫ পেয়ে ২৬৭তম, ২য় শিফটে ৯২৭০ রোলধারী ইংরেজিতে ১ পেয়ে ২৫৮তম, ২য় শিফটে ৭২০১ রোলধারী সাধারণ জ্ঞানে ১ পেয়ে ২৬৯তমসহ অনেকে ইংরেজিতে ১ নম্বর পেয়েছেন, বাংলায় ১ নম্বর পেয়ে মেধাক্রমে স্থান করে নিয়েছেন অনেকেই। তবে তারা প্রত্যেকেই বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ পাচ্ছেন।
এবারে ভর্তি নির্দেশিকায় 'বি' ইউনিটে বিভাগ পাওয়ার ক্ষেত্রে শর্তজুড়ে দেন কর্তৃপক্ষ। এতে বাংলায় ভর্তি হতে হলে নূ্যনতম ১৫ পাওয়া বাধ্যতামূলক করা হয়। ইংরেজি বিভাগে ভর্তির ক্ষেত্রেও একই শর্ত। এছাড়া অন্যান্য বিভাগে ভর্তি হতে ইংরেজিতে ন্যূনতম দশ পেতে হবে পরীক্ষার্থীদের। তবে আরবি সাহিত্য, ইসলামের ইতিহাস ও আলফিকহ অ্যান্ড লিগ্যাল স্টাডিজ বিভাগে ভর্তির ক্ষেত্রে কোনো শর্ত দেওয়া হয়নি। সেই সঙ্গে এমসিকিউএ বাংলা ও ইংরেজি অংশ ছাড়া অন্যান্য অংশে পাসের শর্তও দেওয়া হয়নি। ফলে মাইনাস মার্কস পাওয়া পরীক্ষার্থীও ভর্তির সুযোগ পাচ্ছেন। এ বিষয়ে 'বি' ইউনিটের সমন্বয়ক অধ্যাপক সাইদুর রহমানের সঙ্গে মোবাইল ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে সাড়া পাওয়া যায়নি। তবে ইউনিট সমন্বয়ক কমিটিতে উপাচার্য মনোনীত সদস্য অধ্যাপক মামুনুর রহমানের কাছে জানতে চাইলে তিনি তাৎক্ষণিক কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি। তবে ভুল থাকলে সমাধানের কথা বলেন।
উপাচার্য অধ্যাপক হারুন-উর-রশিদ আসকারী বলেন, 'লিখিত পরীক্ষার নম্বরের ওপর অগ্রাধিকার দিয়ে ফলাফল তৈরি করা হয়েছে। তবে কোনো ব্যত্যয় থাকলে কেউ আমার কাছে লিখিতভাবে জানতে চাইতে পারে।'