অকেজো রয়েছে পটুয়াখালীর বাউফলের অধিকাংশ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কম্পিউটর, ল্যাপটপ ও প্রজেক্টর। এতে মালটিমিডিয়া ক্লাস বঞ্চিত হচ্ছে শিক্ষার্থীরা। উপজেলায় ৬১টি মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও ৬৭টি মাদরাসা রয়েছে। ২০১১ খ্রিস্টাব্দ থেকে পর্যায়ক্রমে ৮৩টি প্রতিষ্ঠানে কম্পিউটার, ল্যাপটপ ও প্রজেক্টর প্রদান করে সরকার। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতেও নিয়োগ দেওয়া হয় একজন করে কম্পিউটার শিক্ষক। তা সত্বেও কোন শিক্ষার্থীকেই এ পর্যন্ত দেওয়া হয়নি কম্পিউটার শিক্ষা। তাই অধিকাংশ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কম্পিউটার, ল্যাপটপ ও প্রজেক্টর প্রধান শিক্ষক, কিংবা প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতির বাসায় স্থান পায়।
একটি সূত্র জানায়, এসব কম্পিউটার, ল্যাপটপগুলো গেইমস খেলা, ফেসবুক ও গান-বাজনা দেখায় ব্যাবহার হয়। অবহেলা অযত্নে অধিকাংশ কম্পিউটার, ল্যাপটপ ও প্রজেক্টর নষ্ট হয়ে গেছে। সরকার শিক্ষার্থীদের মাল্টিমিডিয়া শিক্ষা প্রদানসহ তথ্য-প্রযুক্তির জ্ঞানাচর্চার নজর দিয়ে বিশাল অঙ্কের টাকা ব্যয় করলেও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পর্যায়ে তার কোন সুফল পাচ্ছে না শিক্ষার্থীরা।
উল্টো অভিযোগ পাওয়া গেছে কম্পিউটার শিক্ষায় শিক্ষার্থীদের তেমন কোন অগ্রগতি না হলেও বেতন নিচ্ছেন সংশ্লিষ্ট বিষয়ের শিক্ষকরা। একই সঙ্গে মডেম প্রদান করে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে অনলাইনে শিক্ষার্থীরা ইন্টারেনট ব্যবহার করে প্রয়োজনী তথ্যাদি সংগ্রহ কিংবা সরকারে উন্নয়ন সম্পর্কিত তথ্য জানার উদ্দেশ্য হচ্ছে ব্যহত।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক, পৌর সদর লাগোয়া এক মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের বিজ্ঞান শিক্ষক বলেন, ‘উপজেলায় সাতটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কম্পিউটার ল্যাব স্থাপন করা হলেও তা পুরোপুরি অচল রয়েছে। ল্যাব প্রতিষ্ঠার সময় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে প্রতিযোগিতার মনোভাব থাকলেও এখন ওইসব স্কুল-মাদরাসার কম্পিউটারগুলো যেন ময়লার স্তুপ হয়েছে। কোন প্রতিষ্ঠানেই এখন আর মাল্টিমিডিয়া ক্লাস নিতে দেখা যায় না।’
এ ব্যাপারে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা শহিদুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, ‘অধিকাংশ প্রতিষ্ঠানের কম্পিউটার কিংবা ল্যাপটপ কিছু দিন ব্যবহার করার পর নষ্ট হয়ে গেছে। প্রজেকক্টরগুলোরও একই অবস্থা হয়েছে।’ তবে এসব সচল করার জন্য কোন উদ্যোগ নেয়া হবে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এসব সারানোর জন্য কোন বরাদ্ধ নেই।’