বাউফল উপজেলা ছাত্রলীগের কমিটি অনুমোদনে কাগজে পটুয়াখালী জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদকের স্বাক্ষর নিয়ে বিভ্রান্তির সৃষ্টি হয়েছে। উপজেলা ছাত্রলীগের নতুন কমিটিকে ভুয়া উল্লেখ করে নিজ ফেসবুক আইডি থেকে স্টাটাস দিয়েছেন পটুয়াখালী জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ওমর ফারুক ভুইঁয়া। অপর দিকে নতুন কমিটিকে অভিনন্দন জানিয়ে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়েছেন পটুয়াখালী জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি হাসান সিকদার। একই সঙ্গে নিজের ফেসবুক আইডিতে ভিন্ন এক স্টাটাসে সাধারণ সম্পাদকের স্বাক্ষর দেয়ার পর তা আবার অস্বীকার করার বিষয়ে বিস্ময় প্রকাশ করেছেন সভাপতি।
উল্লেখ্য, গত ২৮ জুলাই আলআমিন ত্বোহাকে সভাপতি এবং তানজিল হোসেন অভিকে সাধারণ সম্পাদক করে বাউফল উপজেলা ছাত্রলীগের কমিটি অনুমোদন দেয় পটুয়াখালী জেলা ছাত্রলীগ।
এ বিষয়ে জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি হাসান সিকদার সাংবাদিকদের বলেন, ‘পটুয়াখালী ফায়ার সার্ভিস রোডস্থ ওমর ফারুক ভুইঁয়ার বাসভবনে বসে ওই কমিটির সব দাপ্তরিক কাজ সম্পাদন করা হয়। এরপর আমি ও সাধারণ সম্পাদক ওমর ফারুক ভুইঁয়ার যৌথ স্বাক্ষরে কমিটি অনুমোদন দিই। এ সময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন পটুয়াখালী সদর উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি জাহিদুল ইসলাম জাহিদ, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম সাগর, সাংগঠনিক সম্পাদক আবু বকর সিদ্দিকসহ আরো কয়েকজন। আমার মনে হয় কোনো ভয়ভীতির কারণে বিষয়টি অস্বীকার করছেন সাধারণ সম্পাদক ওমর ফারুক ভুইয়া।’ কমিটি অনুমোদনের বিষয়ে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানীও অবগত আছেন বলেও দাবি করেন পটুয়াখালী ছাত্রলীগের সভাপতি হাসান সিকদার।
কমিটি অনুমোদনের সময় উপস্থিত ছিলেন দাবি করে পটুয়াখালী সদর উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি জাহিদুল ইসলাম জাহিদ, জেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম-সাধারন সম্পাদক সাইফুল ইসলাম সাগর এবং সাংগঠনিক সম্পাদক আবু বকর সিদ্দিক অভিন্ন ভাষায় দৈনিক শিক্ষা ডটকমেকে বলেন, ‘কমিটি অনুমোদন দেয়ার পর হঠাৎ অদৃশ্য কারণে তিনি তার ফেসবুক একাউন্টে ওই কমিটিকে ভুয়া বলে স্ট্যাটাস দেন।’
নতুন কমিটি অনুমোদনের বিষয়ে উপজেলা ছাত্রলীগের আগের কমিটির সাধারণ সম্পাদক মাহমুদ রাহাত জামশেদ দৈনিক শিক্ষা ডটকমকে বলেন, ‘যেহেতু জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক দাবী করেছেন তার স্বাক্ষর জাল করা হয়েছে সেহেতু এই কমিটি ভিত্তিহীন। আমরা এ বিষয়ে কেন্দ্রীয় কমিটির কাছে তদন্ত দাবি করছি।
বাউফল উপজেলা ছাত্রলীগের আগের কমিটির (উপজেলা আয়ামীলীগ সমর্থিত) সাধারণ সম্পাদক শামসুল কবির নিশাত নতুন কমিটিকে অভিনন্দন জানিয়ে দৈনিক শিক্ষা ডটকমকে বলেন, ‘জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক স্বাক্ষর দেয়ার পর যদি তা অস্বীকার করেন তাহলে বিষয়টি তদন্ত করা হোক। যদি সত্য প্রমানিত হয় তাহলে দোষিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হোক।’
এ বিষয়ে জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ওমর ফারুক ভুইঁয়া দৈনিক শিক্ষা ডটকমকে বলেন, ‘আমার স্বাক্ষর জাল করে সভাপতি হাসান সিকদার ওই কমিটি দিয়েছেন। কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি সাধারণ সম্পাদককে বিষয়টি জানানো হয়েছে।’