বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বাকৃবি) কৃষি অনুষদের অধীনে দেশে প্রথমবারের মতো ফুড সেফটি ম্যানেজমেন্ট ডিগ্রি চালু হতে যাচ্ছে। ফলে বাকৃবির গ্রাজুয়েটরা এবার নিরাপদ খাদ্যে উৎপাদনে ভূমিকা রাখবে।
কৃষি ব্যবস্থার আধুনিকায়নে তথা বিজ্ঞান-ভিত্তিক চাষাবাদের মাধ্যমে টেকসই কৃষি উন্নয়ন ও কৃষি-বিজ্ঞান ভিত্তিক অর্থনৈতিক বুনিয়াদ গড়ে ওঠায় বাংলাদেশ আজ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ। সবজি উৎপাদনে বিশ্বে তৃতীয়, ধান উৎপাদনে বিশ্বে চতুর্থ, মাছ উৎপাদনে বিশ্বে চতুর্থ, আলু উৎপাদনে বিশ্বে সপ্তম, আম উৎপাদনে বিশ্বে সপ্তম, পেয়ারা উৎপাদনে বিশ্বে অষ্টম, খাদ্য শস্য উৎপাদনে বিশ্বে দশম, ফলমূল উৎপাদনে বিশ্বে আঠাশতম।
কৃষি বিজ্ঞানীদের অক্লান্ত পরিশ্রম ও গবেষণার ফলে এসব সম্ভব হয়েছে। এক্ষেত্রে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) শিক্ষক, গবেষক ও গ্রাজুয়েটদের ভূমিকা রয়েছে। কিন্তু বর্তমানে আমরা নিশ্চিন্তে খাদ্যে খেতে পারি না। ফরমালিনসহ নানা ক্ষতিকর রাসায়নিক উপাদানের ভয়ে আমরা সর্বদা তটস্থ।
এখন যুগের চাহিদার সঙ্গে মানসম্পন্ন নিরাপদ খাদ্যের তাগিদ বেড়েছে। উৎপাদনের পাশাপাশি এখন পুষ্টিগুণ বিবেচনার সময় এসেছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষে স্নাতক প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষা বিজ্ঞপ্তিতে ফুড সেফটি ম্যানেজমেন্ট বিভাগে ভর্তির জন্য বলা হয়েছে। এই কোর্সে ৩০ জন শিক্ষার্থী ভর্তি করা হবে। ২০১৯ খ্রিস্টাব্দের শুরুতেই এই ডিগ্রিতে ভর্তিকৃত শিক্ষার্থীদের ক্লাস শুরু হবে। এজন্য ইতোমধ্যে চারজন শিক্ষককে বিদেশে উচ্চতর প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আলী আকবর বলেন, আমরা আজ খাদ্য উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণ। আমাদের আজ পর্যাপ্ত উৎপাদন হচ্ছে কিন্তু মানসম্পন্ন হচ্ছে না। এখন পুষ্টি নিরাপত্তায় জোর দিতে হবে। এরই লক্ষ্যে দক্ষ জনবল সৃষ্টিতে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে ডিগ্রিটি চালু করা হলো।
এটি সরকারের যুগোপযোগী সিদ্ধান্ত। এর ফলে আমরা দেশের কৃষিতে যেমন ভূমিকা রেখেছি এই ডিগ্রিটি চালু করলে খাদ্য নিরাপত্তায় তেমন ভূমিকা রাখবে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রাজুয়েটরা।