তরুণ জনগোষ্ঠীর জন্য ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্ডে (ভৌগোলিক সুবিধা) থাকা দেশগুলোর অন্যতম বাংলাদেশ। তবে জনমিতিক এ সম্ভাবনার উপযোগিতা নিশ্চিত করতে জনগোষ্ঠীকে জনশক্তিতে রূপান্তর করতে হবে। সেটি আমরা কতটুকু পারছি? দক্ষ জনসম্পদ তৈরির যে প্রতিষ্ঠানগুলো রয়েছে, সেখান থেকে কেমন গ্র্যাজুয়েট বের হচ্ছে? এসব প্রশ্নের উত্তর খুব বেশি আশাব্যঞ্জক নয়। বাস্তব চিত্র হচ্ছে, দেশের অধিকাংশ বিশ্ববিদ্যালয়ই চাকরির বাজার উপযোগী গ্র্যাজুয়েট গড়ে তুলতে ব্যর্থ হচ্ছে।
গতকাল রাজধানীর একটি হোটেলে আয়োজিত ‘ইমার্জিং এইচআর চ্যালেঞ্জেস অ্যান্ড ফিউচার অব জবস’ শীর্ষক ডায়ালগে আলোচকরা এসব কথা বলেন। যুক্তরাজ্যভিত্তিক পরামর্শক প্রতিষ্ঠান প্রাইসওয়াটারহাউজকুপারস (পিডব্লিউসি) এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। এতে পিডব্লিউসি বাংলাদেশের ম্যানেজিং পার্টনার মামুন রশীদ, দেশের বিভিন্ন করপোরেট প্রতিষ্ঠানের এইচআর-সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও বিশেষজ্ঞ এবং বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক ও গবেষকরা অংশ নেন।
অনুষ্ঠানে ‘ট্রান্সফর্মিং অর্গানাইজেশনস ফর সাসটেইনেবল গ্রোথ ইন দ্য ফিউচার অব ওয়ার্ক’ শীর্ষক উপস্থাপনা দেন পিডব্লিউসির পার্টনার ও লিডার চৈতালি মুখার্জি। উপস্থাপনায় তিনি বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান বিষয়ে পিডব্লিউসি নির্ণয়কৃত পাঁচটি প্রবণতার কথা তুলে ধরেন। এগুলো হলো ডেমোগ্রাফিক শিফট, শিফটস ইন গ্লোবাল ইকোনমিক পাওয়ার, র্যাপিড আরবানাইজেশন, রিসার্চ সিকিউরিটি অ্যান্ড ক্লাইমেট চেঞ্জ ও টেকনোলজিক্যাল ব্রেকথ্রোস।
এ পাঁচটি প্রবণতার বিষয়ে আলোচনা করতে গিয়ে উপস্থাপক বলেন, এ প্রবণতাগুলো বর্তমানে মার্কেটকে প্রভাবিত করছে এবং ভবিষ্যতেও প্রভাবিত করতে থাকবে। ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্ডের দেশগুলো তাদের জনগোষ্ঠীকে দক্ষ ও প্রশিক্ষিত করে গড়ে তুলতে না পারলে এর উপযোগিতা পাবে না। এক্ষেত্রে শিক্ষার পাশাপাশি স্বাস্থ্য খাতেও নজর দিতে হবে। অপরিকল্পিত নগরায়ণের ফলে ব্যাপক স্থাস্থ্যঝুঁকি তৈরি হচ্ছে। শহুরে শিশুদের বড় অংশকেই নেবুলাইজার নিতে হচ্ছে। যানবাহন সুবিধার মানোন্নয়নে উদ্যোগ নেয়া জরুরি।