চলমান করোনা পরিস্থিতিতের মধ্যেও চলমান প্রকল্পগুলোকে এগিয়ে নেওয়ার কথা বলা হলেও বৃহস্পতিবার সংসদে পেশ করা অর্থমন্ত্রীর বাজেট বক্তৃতায় বেসরকারি শিক্ষক-কর্মচারীদের বহুল প্রত্যাশিত নতুন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তির জন্য বরাদ্দের খবর পাওয়া যায়নি। তবে, শিক্ষামন্ত্রী ডা: দীপু মনি বৃহস্পতিবার রাতে সাংবাদিকদের বলেছেন এমপিওভুক্তি একটি চলমান প্রক্রিয়া, হতাশ না হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।
২০২০-২১ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে শিক্ষা খাতে বরাদ্দ রাখা হয়েছে ৬৬ হাজার ৪০১ কোটি টাকা, যা মোট বাজেটের ১১ দশমিক ৬৯ শতাংশ। আর ২০১৯-২০ অর্থবছরে শিক্ষার তিন বিভাগ ও মন্ত্রণালয়ের জন্য বরাদ্দ ছিল ৫৯ হাজার ৩৮১ কোটি টাকা। এর মধ্যে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের জন্য ২৮ হাজার ৩৭৮ কোটি টাকা এবং কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বিভাগের জন্য ৭ হাজার ৩০৭ কোটি টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছিল। অপরদিকে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জন্য ২৩ হাজার ৭০২ কোটি টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছিল।
তবে করোনাকালের এ বরাদ্দকে যথাযথভাবে ব্যবহারের কথা বলেছেন শিক্ষাবিদরা।
প্রায় ১০ বছর পর চলতি অর্থবছরে নতুন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তির জন্য বরাদ্দ রাখা হয়েছিল এবং শেষ পর্যন্ত দুই হাজার ৬১৫টি প্রতিষ্ঠানকে চূড়ান্তভাবে এমপিওভুক্ত করা হয়েছিল। সারাদেশে এখনও সাত হাজারের বেশি নন এমপিও প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তির জন্য অপেক্ষা করছে বলে দাবি করছেন ননএমপিও শিক্ষকরা। তবে, যোগ্য প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা খুবই কম বলে ধারণা করা যাচ্ছে। এ ছাড়া অনার্স-মাস্টার্স কলেজের শিক্ষকরাও এমপিওভুক্তির জন্য দীর্ঘদিন আন্দোলন করছেন। ফলে শিক্ষক-কর্মচারীদের প্রত্যাশা ছিল, আগামী অর্থবছরেও এমপিওভুক্তির জন্য বরাদ্দ থাকবে। কিন্তু বিভিন্ন স্তরের শিক্ষকদের দাবি-দাওয়া পূরণের কোনো সুস্পষ্ট আভাস নেই এতে।
শিক্ষা খাতের প্রস্তাবিত বাজেট সম্পর্কে ননএমপিও শিক্ষক ফেডারেশনের নেতা শাহ আলম সরদার বলেন, আশা ছিল নতুন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তির জন্য বরাদ্দ থাকবে। আমরা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে আকুল আবেদন জানাই যেন আমাদের জন্য বরাদ্দ দেয়া হয়।
করোনার কারণে বিদ্যালয়ে ঝরে পড়ার এবং শিশু শ্রম, বাল্যবিয়ে, অপুষ্টি ও প্রসূতি মৃত্যুর হার বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। তিনি বলেন, করোনার মতো নতুন সমস্যায় নতুন পরিকল্পনা দরকার।