জাতীয়করণ থেকে বাদ পড়া ৪ হাজার ১৫৯টি বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় জাতীয়করণের দাবিতে আগামী ১১ জুলাই সকাল ১০টায় জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হবে। বাংলাদেশ বেসরকারী প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির ব্যানারে মানববন্ধন শেষে প্রধানমন্ত্রীর কাছে স্মারকলিপি দেবেন শিক্ষকরা। সমিতির সভাপতি মামুনুর রশিদ খোকন শুক্রবার (৬ জুলাই) দুপুরে দৈনিকশিক্ষা ডটকমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
সমিতির ব্যানারে গত ২১ জানুয়ারি থেকে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন শিক্ষকরা। জাতীয়করণের দাবিতে দুই দিন অবস্থান ও প্রতীকী অনশন কর্মসূচি পালনের পর ২৩ জানুয়ারি থেকে অনশন শুরু করেন তারা। ৩০ জানুয়ারি প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ড. এ এফ এম মঞ্জুর কাদির জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে অনশনরত প্রাথমিকের শিক্ষকদের অনশন ভেঙে ক্লাসে ফিরে যাওয়ার আহ্বান জানালে শিক্ষকেরা ‘না না’ বলে তার আহ্বান নাকচ করে দেন।
অতিরিক্ত সচিব ড. এ এফ এম মঞ্জুর কাদির অনশনরত শিক্ষকদের বলেন, প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা অনুযায়ী সব বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় জাতীয়করণের লক্ষ্যে কাজ করছে। আপনাদের দাবি মেনে নেয়া হবে। কিন্তু আমাদের সময় দিতে হবে। এরপর ৭ ফেব্রুয়ারি দুই মাসের জন্য কর্মসূচি স্থগিত করে শিক্ষকরা বাড়ি ফিরে যান।
সমিতির সভাপতি মামুনুর রশিদ খোকন দৈনিকশিক্ষা ডটকমকে বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭৩ খ্রিস্টাব্দে দুই দফায় প্রায় ৩৭ হাজার বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় জাতীয়করণ করেন। এরই ধারাবাহিকতায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০১৩ খ্রিস্টাব্দের ৯ জানুয়ারি জাতীয় প্যারেড স্কয়ারে প্রাথমিক শিক্ষক মহাসমাবেশে সারাদেশে ২৬ হাজার ১৯৩টি স্কুলকে জাতীয়করণের ঘোষণা দেন। এরপরও তিন পার্বত্য এলাকায় ২১০টি ও নঁওগা জেলায় আরও একটি বিদ্যালয় জাতীয়করণ করা হয়।
জাতীয়করণের দাবিতে গত ২১ জানুয়ারি জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে প্রথমে অবস্থান ধর্মঘট শুরু করেন শিক্ষকরা। পরে ২৬ জানুয়ারি থেকে আমরণ অনশন কর্মসূচি পালন করেন তারা। আন্দোলনরত অবস্থায় তিন জন সচিবের আশ্বাসে ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ওপর বিশ্বাস ও আস্থা রেখে ৭ ফেব্রুয়ারি ১৮ দিন পর দুই মাসের জন্য কর্মসূচি স্থগিত ঘোষণা করা হয়। কিন্তু এখন পর্যন্ত তাদের দাবির বিষয়ে দৃশ্যমান কোনো পদক্ষেপ সরকার নেয়নি বলে অভিযোগ করে তিনি বলেন, বাদপরা ৪ হাজার ১৫৯টি বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় জাতীয়করণের দাবিতে আগামী ১১ জুলাই জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে মানববন্ধন শেষে আমরা প্রধানমন্ত্রীর কাছে স্মারকলিপি দেব।’