বার কাউন্সিলের প্রচলিত পরীক্ষা পদ্ধতিতে কোনো প্রবীণ আইনজীবীর পক্ষেও এমসিকিউ পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়া প্রায় অসম্ভব। যাঁরা এই এমসিকিউ প্রশ্ন করেন, তাঁরা উন্নত দেশের বিশ্ববিদ্যালয়সমূহের এমসিকিউ পরীক্ষা পদ্ধতির সঙ্গে পরিচিত হলে কখনোই মেধা ধ্বংসকারী মুখস্থবিদ্যানির্ভর প্রশ্ন করতেন না। মঙ্গলবার (২১ জানুয়ারি) ইত্তেফাক পত্রিকায় প্রকাশিত এক চিঠিতে এ তথ্য জানা যায়।
চিঠিতে আরও জানা যায়, অক্সফোর্ড, ক্যামব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয় এবং আইইএলটিএস, টোফেল বা জিআরই পরীক্ষার প্রশ্ন দেখলে বোঝা যায়, এমসিকিউ পদ্ধতিতে কতোটা দক্ষতার সঙ্গে শিক্ষার্থীদের মেধা যাচাই করা হয়, যা বার কাউন্সিলের পরীক্ষা পদ্ধতিতে সমপূর্ণ অনুপস্থিত। একমাত্র আইন পেশা ছাড়া চিকিৎসা বা প্রকৌশলের মতো অন্য কোনো পেশায় যাওয়ার জন্য কাউকে এমসিকিউ বা অন্য কেনো ধরনের পরীক্ষায় অংশ নিতে হয় না। তার ওপর আবার মুখস্থবিদ্যানির্ভর প্রশ্ন প্রণয়নের মাধ্যমে মেধাহীনদের অধিক হারে এই পেশায় অংশগ্রহণের সুযোগ করে দিলে দিনে দিনে এই পেশার মর্যাদা ক্ষুণ্ন হবে। আসছে ফেব্রুয়ারি মাসে বার কাউন্সিলের এমসিকিউ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা। এ পরীক্ষায় মুখস্থনির্ভর প্রশ্নের পরিবর্তে সৃজনশীল প্রশ্ন করে প্রকৃত মেধাবী শিক্ষার্থীদের আইন পেশায় আসার সুযোগ দিতে সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে বিনীত আবেদন জানাচ্ছি।
অনল চৌধুরী : ৬৫ শান্তিনগর, ঢাকা ১২১৭