ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজে চলতি শিক্ষাবর্ষের শেষ ক্লাসের দিনই এ প্রতিষ্ঠানটিতে ষষ্ঠ শ্রেণিতে একই শিক্ষাবর্ষে এক ছাত্রী ভর্তি করা হয়েছে। ফলে কোনো পাঠদান না করে ভিকারুননিসায় ভর্তি হয়েই বার্ষিক পরীক্ষায় অংশ নিয়েছে ঐ ছাত্রী।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এভাবে বছরের শেষে বার্ষিক পরীক্ষার ঠিক আগে শিক্ষার্থী ভর্তি করা অনিয়ম, অনৈতিকও। ভিকারুননিসা কর্তৃপক্ষ এভাবে ভর্তি করে ভর্তি দুর্নীতিকে উসকে দিয়েছেন। যেখানে ভিকারুননিসায় অতিরিক্ত ছাত্রী ভর্তি নিয়ে সাবেক এক অধ্যক্ষ, গভর্নিং বডিসহ সংশ্লিষ্ট কমিটির বিরুদ্ধে তদন্ত হয়েছে। অতিরিক্ত ছাত্রী ভর্তির প্রমাণও মিলেছে। সেখানে বছরের শেষ সময় আবারও ভর্তি কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না।
ভিকারুননিসা নূন স্কুলের অধ্যক্ষ ফওজিয়া বলেন, মন্ত্রণালয়ের নির্দেশেই ঐ ছাত্রীকে ভর্তি করা হয়েছে। চুয়াডাঙ্গার জেলা প্রশাসক (ডিসি) গোপাল চন্দ্র দাস সম্প্রতি বদলি হয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে যোগদান করেছেন। তার মেয়েকে ভর্তি করা হয়েছে। নীতিমালা অনুযায়ী ভর্তি হওয়া যায় বলে তিনি দাবি করেন।
এভাবে ভর্তির বিষয়টি জানেন না মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ড. সৈয়দ মো. গোলাম ফারুক। তিনি বলেন, বছরের শেষ সময়ে এভাবে শিক্ষার্থী ভর্তির বিষয়টি অস্বাভাবিক। এভাবে ভর্তি না করানোর পক্ষে তার মত।
প্রতিষ্ঠানটির দায়িত্ব সরকারি কর্মকর্তা থাকায় সরকারি কর্মকর্তাদের জন্য এই সুযোগ দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন প্রতিষ্ঠানটির অভিভাবক আরিফুল হক।
ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মু. জিয়াউল হক বলেন, বছরের শেষ সময়ে এসে ভর্তি এমন অভিযোগ জমা পড়েছে। তিনি বলেন, সরকারি কর্মকর্তাদের সন্তানদের জন্য মোট আসনের ১০ শতাংশ বরাদ্দ থাকার কথা। কোনো স্কুলে সেটা না থাকলে সেটাও অনিয়ম। । সরকারি কর্মকর্তাদের সন্তানরা সরকারি স্কুল বাদ দিয়ে ভিকারুননিসাতেই ভর্তি হতে হবে এমন চিন্তার সঙ্গে একমত নন এ চেয়ারম্যান।