নীলফামারীর ডিমলায় ৬ষ্ঠ শ্রেণির এক স্কুলছাত্রীকে বাল্যবিয়ে থেকে রক্ষা করেছেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার জয়শ্রী রানী রায়। শুক্রবার (২০ মার্চ) রাতে গয়াবাড়ি ইউনিয়নের পশ্চিম খড়িবাড়ী চুকানটারী গ্রামে এ বিয়ে বন্ধ করে ওই ছাত্রীর মাকে ৪০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। পাশাপাশি বয়স না হওয়া পর্যন্ত মেয়ের বিয়ে না দেয়ার অঙ্গীকার নামাও আদায় করা হয়।
ভুক্তভোগী ওই ছাত্রীর নাম সনি আক্তার (১২)। সে খগাখড়িবাড়ি শিশু কানন কিন্ডারগার্টেনের ৬ষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রী।
জানা যায়, শুক্রবার রাতে নীলফামারীর ডিমলা উপজেলার গয়াবাড়ি ইউনিয়নের পশ্চিম খড়িবাড়ী চুকানটারী গ্রামের রাকিবুল ইসলাম আকুর মেয়ে সনি’র পাটগ্রামের দুলু মিয়ার সাথে বিয়ের প্রস্তুতি চলছিল। এমন খবর পেয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার, পেশকার রোকনুজ্জামান রোকন, ডিমলা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মফিজ উদ্দিন শেখ, ওসি (তদন্ত) সোহেল রানা, এসআই মাসুদ রানা ও তার সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে অভিযান চালালে বিয়ের কার্যক্রম ভেস্তে যায়।
এ সময় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্র্রেট ও পুলিশ প্রশাসনের উপস্থিতি টের পেয়ে বিয়ে বাড়ির লোকজন পালিয়ে গেলেও আলামত হিসেবে রান্না-বান্না করার হাড়ি-পাতিল, পান-সুপারি ও বিয়ের ডালা পাওয়া যায়। বাল্যবিয়ের প্রস্তুতি নেয়ায় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ইউএনও জয়শ্রী রানী রায় ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে ‘বাল্যবিবাহ নিরোধ আইন-২০১৭ এর ৮ ধারায়’ শিশু কন্যাকে বিয়ে দেয়ার অপরাধে ছাত্রীর মা বিউটি বেগমকে ৪০ হাজার টাকা জরিমানা করেন এবং প্রাপ্ত বয়স না হওয়া পর্যন্ত মেয়ের বিয়ে না দেয়ার অঙ্গীকার নামা লিখে নেন।
এ ব্যাপারে জয়শ্রী রানী রায় জানান, নাবালিকা (অপ্রাপ্ত বয়স) কন্যা শিশুর বিয়ের প্রক্রিয়া চলছে এমন খবর পেয়ে অভিযানে রেব হই। ফলে মেয়েটি রক্ষা পেল মারাত্মক একটি ঝুঁকি থেকে। বাল্য বিবাহের অপরাধে কাউকে ছাড় দেয়া হবে না।