ফরিদপুরের সদরপুরে গোপনে বাল্যবিয়ের পর কনেকে নিজের বাড়িতে আনতে গিয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালতের রায়ে কারাগারে গেছেন বর। গত বৃহস্পতিবার বিকেল ৪টার দিকে সদরপুর উপজেলার চরবিষ্ণুপুর ইউনিয়নের কলাডাঙ্গী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। অন্যদিকে বোয়ালমারী উপজেলায় কিশোরীকে বাল্যবিয়ে দেওয়ার চেষ্টার অভিযোগে তার বাবাকে ছয় মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। গতকাল শুক্রবার তাঁকে কারাগারে পাঠানো হয়।
সদরপুরে কারাদণ্ডপ্রাপ্ত বর মো. শিপন শেখ (২৮) একই উপজেলার কৃষ্ণপুর ইউনিয়নের চরঠেঙ্গামারী গ্রামের বাসিন্দা।
স্থানীয় লোকজন জানায়, স্থানীয় একটি স্কুলের দশম শ্রেণির এক ছাত্রীর (১৪) সঙ্গে গত ১৭ জানুয়ারি ফরিদপুর শহরে গোপনে শিপন শেখের বিয়ে সম্পন্ন হয়। গত বৃহস্পতিবার বিকেলে বর কনেকে নিজের বাড়িতে নিয়ে যেতে কনের বাড়িতে যান। খবর পেয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী হাকিম ইউএনও পূরবী গোলদার ওই বাড়িতে গিয়ে বরকে আটক করেন। পরে আদালত তাঁকে ২০ দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেন।
ইউএনও পূরবী গোলদার জানান, শিপন শেখকে ওই দিন রাত ৮টার দিকে সদরপুর থানার মাধ্যমে জেলা কারাগারে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। কনের বাবাকে ঘটনাস্থলে পাওয়া যায়নি বলে তাঁকে সাজা দেওয়া সম্ভব হয়নি।
অন্যদিকে বোয়ালমারীতে কারাদণ্ডপ্রাপ্ত কিশোরীর বাবা (৪৬) উপজেলার রূপাপাত ইউনিয়নের মোড়া গ্রামের বাসিন্দা। গতকাল দুপুর আড়াইটার দিকে পরিচালিত ভ্রাম্যমাণ আদালতের নেতৃত্ব দেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) শাকিলা বিনতে মতিন।
স্থানীয় ও ভ্রাম্যমাণ আদালত সূত্রে জানা যায়, গতকাল দুপুরে স্থানীয় একটি স্কুলের নবম শ্রেণির ছাত্রীর সঙ্গে (১৫) আলফাডাঙ্গা সদর ইউনিয়নের ইছাডাঙ্গা গ্রামের কুবাদ মোল্লার ছেলে শামিম মোল্লার (২২) বাল্যবিয়ে হওয়ার কথা ছিল। খবর পেয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালত ঘটনাস্থলে পৌঁছলে বর ও বরযাত্রীরা পালিয়ে যান। পরে নির্বাহী হাকিম ঘটনাস্থলে আদালত বসিয়ে বাল্যবিয়ে আয়োজনের দায়ে কিশোরীর বাবাকে ছয় মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়ে জেলা কারাগারে পাঠিয়ে দেন।