বাতাসের গুণগত মানের সূচকে (একিউআই) ঢাকার অবস্থান ১১তম। গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল ৮.১৮ মিনিটে একিউআই এই অবস্থানে ছিল ঢাকা। এ সময়ে ঢাকায় একিউআই সূচকে স্কোর ছিল ১৬৯। বাতাসের এই গুণগত মানকে অস্বাস্থ্যকর হিসেবে শ্রেণিবিন্যাস করা হয়েছে। বার্তা সংস্থা ইউএনবি এ খবর দিয়েছে।
এক্ষেত্রে সূচকের শীর্ষ তিনটি স্থানে রয়েছে অস্ট্রেলিয়ার ক্যানবেরা, মঙ্গোলিয়ার উলানবাটোর ও ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লি। এসব স্থানে একিউআই সূচকে স্কোর যথাক্রমে ৪৯৫, ৪০৫ ও ৩৯৭। একিউআই স্কোর যখন ১৫১ থেকে ২০০ এর মধ্যে থাকে, তখন বাতাসের গুণগত মানকে অস্বাস্থ্যকর হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
যখন স্কোর ২০১ থেকে ৩০০ এর মধ্যে থাকে, তখন সব শহরবাসী স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে আক্রান্ত হতে পারেন বলে বিবেচনা করা হয়। আবার স্কোর যখন ৩০১ থেকে ৫০০ বা তারও বেশি হয় তখন বাতাসের গুণগত মানকে বিপজ্জনক বলে বিবেচনা করা হয়। এই অবস্থায় শহরবাসী জরুরি অবস্থার মতো সতর্কতায় পড়তে পারেন।
উল্লেখ্য এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স (একিউআই) হলো বাতাসের গুণগত মানের নিত্যদিনের একটি সূচক। এর মধ্যদিয়ে জনগণকে জানানো হয় যে, তারা একটি নির্দিষ্ট শহরে কতটা পরিষ্কার বা দূষিত বাতাসের মধ্যে বসবাস করছেন। এতে তাদের শরীরে কি প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করতে পারে সে বিষয়েও জানান দেয়া হয়। বাংলাদেশে একিউআই নির্ধারণ করা হয় পাঁচটি বিষয়ের ওপর।
তা হলো পার্টিকুলেট ম্যাটার (পিএম১০ এবং পিএম২.৫), নাইট্রোজেন ডাই অক্সাইড, কার্বন মনোক্সাইড, সালফার ডাই অস্কাইড ও ওজোন। পরিবেশ বিভাগও এসব উপাদানকে বায়ুদূষণের মানদণ্ড হিসেবে গ্রহণ করেছেন। এসব মানদণ্ডের লক্ষ্য হলো, মানব স্বাস্থ্যের ওপর ক্ষতিকর প্রভাব থেকে তাদেরকে রক্ষা করা। ঢাকা হলো একটি মেগাসিটি। বায়ুদূষণ আঁকড়ে ধরছে এই শহরকে। তবে বর্ষাকালে এখানে সাধারণত বাতাসের গুণগত মান উন্নত হয়।