বায়োমেট্রিক হাজিরা মেশিন কেনায় অনিয়মের অভিযোগ

বাউফল (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি |

পটুয়াখালীর বাউফলে বায়োমেট্রিক হাজিরা মেশিন ক্রয়ে দুর্নীতি ও লুটপাটের অভিযোগ উঠেছে। শিক্ষকদের শতভাগ হাজিরা নিশ্চিতকরণে গত বছরের ২৮ মার্চ প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্ত মোতাবেক স্লিপের টাকা ব্যবহার করে সম্প্রতি উপজেলার ২৩৯টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে স্থাপিত হয় বায়েমেট্রিক হাজিরা মেশিন।

জানা গেছে, রিয়াল টাইম ব্রান্ডের কোম্পানির এজেন্টের সঙ্গে আঁতাত করে একটি গ্রুপ সিন্ডিকেটের মাধ্যমে ৬ হাজার টাকা বাজার মূল্যের ওই মেশিনের ২৩ হাজার ৫০০ টাকা মূল্য নির্ধারণ করে। উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসের কতিপয় অসাধু কর্মকর্তার যোগসাজসে সিন্ডিকেটে জড়িত আছেন ৪ জন শিক্ষক ও কয়েকজন রাজনৈতিক নেতা।

দক্ষিণ-পূর্ব মদনপুরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মোস্তাফিজুর রহমান সাংবাদিকদের বলেন, ‘সমন্বয় সভায় উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকদের প্রত্যেককে মেশিন স্থাপনের জন্য স্লিপ প্রকল্পের ২৫ হাজার করে টাকা হাতে রাখার নির্দেশনা দেন।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক পৌর সদর লাগোয়া কয়েকটি বিদ্যালয়ের শিক্ষরা জানান, গত বছরের ২৮ মার্চ প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্ত মোতাবেক স্লিপের টাকা ব্যবহার করে বায়েমেট্রিক হাজিরা মেশিন ক্রয়ের সিদ্ধান্তের পর আবার ২৩ ডিসেম্বর শিক্ষা অধিদপ্তরের আদেশে মেশিন ক্রয়ের সিদ্ধান্ত বন্ধ রাখা হয়। তবে এখানে সরকারি কখন কি আদেশ আসে আবার তা স্থগিত হয়ে যায়। এসব কথা মাথায় রেখেইে শিক্ষা অফিসের অসাধু কয়েক কর্মকর্তা কোনো ধরনের যাচাইবাছাই ছাড়া সিন্ডিকেটের লোকজনে সঙ্গে আঁতাত করেই স্কুলগুলোতে অনতিবিলম্বে মেশিন লাগানোর তাড়া দেয়। আর প্রধান শিক্ষকরাও ৬ হাজার টাকার মেশিন ২৫ হাজার টাকায় কিনে স্থাপন করেন। এভাবেই মোটা অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নেয় জড়িতরা।

শিক্ষকরা বলেন, ‘আগমন-প্রস্থানসহ শিক্ষকদের হাজিরার অনিয়ম ঠেকাতে বায়োমেট্রিক হাজিরা মেশিন কেনাতেই যদি অনিয়ম হয় তা হলে এ জাতির নিয়ম মানার উপায় কি?’

অভিযোগ অস্বীকার করে বাউফল উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা রিয়াজুল হক সাংবাদিকদের বলেন, ‘বাজারে বিভিন্ন দামের মেশিন আছে। আমরা বেশি দাম দিয়ে ভালো মানের মেশিন ক্রয় করেছি। ইতোমধ্যে যে কয়টি মেশিন স্থাপন করা হয়েছে তার বাজার মূল্যের সঙ্গে ইন্টারনেট বিল ও সফটওয়্যারসহ আনুসাঙ্গিক খরচ আছে।’


পাঠকের মন্তব্য দেখুন
ছুটি না বাড়ালে বাড়ি যেতে হতে পারে ঈদের দিন - dainik shiksha ছুটি না বাড়ালে বাড়ি যেতে হতে পারে ঈদের দিন হাইস্কুলে কমেছে দশ লাখের বেশি শিক্ষার্থী - dainik shiksha হাইস্কুলে কমেছে দশ লাখের বেশি শিক্ষার্থী জালিয়াতি করে পদোন্নতি শিক্ষা ক্যাডার গ্যাঁড়াকলে - dainik shiksha জালিয়াতি করে পদোন্নতি শিক্ষা ক্যাডার গ্যাঁড়াকলে রুয়েটের সাবেক উপাচার্য-রেজিস্ট্রারের বিরুদ্ধে মামলা - dainik shiksha রুয়েটের সাবেক উপাচার্য-রেজিস্ট্রারের বিরুদ্ধে মামলা উপবৃত্তির জন্য সংখ্যালঘু কোটার তথ্য চেয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয় - dainik shiksha উপবৃত্তির জন্য সংখ্যালঘু কোটার তথ্য চেয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয় প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগে সতর্কীকরণ বিজ্ঞপ্তি - dainik shiksha প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগে সতর্কীকরণ বিজ্ঞপ্তি উপবৃত্তির জন্য সংখ্যালঘু কোটার তথ্য চেয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয় - dainik shiksha উপবৃত্তির জন্য সংখ্যালঘু কোটার তথ্য চেয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয় হাইস্কুলে কমেছে দশ লাখের বেশি শিক্ষার্থী - dainik shiksha হাইস্কুলে কমেছে দশ লাখের বেশি শিক্ষার্থী please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0062768459320068