জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীন বরিশাল ব্রজমোহন (বিএম) কলেজে সম্মান প্রথম বর্ষে ভর্তিতে অতিরিক্ত টাকা নেওয়ার অভিযোগ তদন্তে নেমেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। মঙ্গলবার দুদকের তিন সদস্যের একটি দল কলেজে গিয়ে ভর্তি সংক্রান্ত কাগজপত্র এবং ব্যাংক হিসাব জব্দ করেছে।
কলেজ সূত্রে জানা গেছে, সহকারী পরিচালক রনজয় কুমারের নেতৃত্বে দুদকের একটি প্রতিনিধি দল বেলা ১২টা থেকে ৪ ঘণ্টা কলেজে অবস্থান করে। এ সময় তারা কলেজের ৮টি বিভাগীয় দপ্তরে গিয়ে সংশ্নিষ্ট কাগজপত্র যাছাই-বাছাই করেন। পরে তারা অধ্যক্ষ শফিকুল ইসলাম সিকদারের সঙ্গে কথা বলেন এবং কলেজের সব হিসাব নম্বর জব্দ করেন।
সূত্রগুলো জানায়, ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষে সম্মান প্রথম বর্ষে ভর্তিতে ইনকোর্স ফি বাবদ প্রতি শিক্ষার্থীর কাছ থেকে ২৪০ টাকা করে নেওয়া হয়। এভাবে ৫ হাজার শিক্ষার্থীর কাছ থেকে ১২ লাখ টাকা আদায় করেছে কলেজ কর্তৃপক্ষ। আদায় করা এ টাকা ব্যাংকে জমা না হওয়ার প্রমাণ পেয়েছে দুদক দল। কলেজ অধ্যক্ষও তা স্বীকার করেছেন।
তদন্ত দলের প্রধান রনজয় কুমার জানান, কলেজের শিক্ষকদের বিরুদ্ধে সম্মান প্রথম বর্ষে ভর্তিতে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত টাকা নেয়ার অভিযোগ রয়েছে। একাধিক গণমাধ্যমে এ খবর প্রকাশিত হওয়ায় মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে তারা তদন্তে এসেছেন। কলেজের ব্যাংক হিসাব নম্বরগুলো তারা যাছাই-বাছাই করে দেখছেন।
কলেজ অধ্যক্ষ শফিকুল ইসলাম সিকদার বলেন, কে বা কারা ভর্তিতে বেশি টাকা নেওয়া হচ্ছে বলে দুদকে অভিযোগ করেছে। এজন্য দুদক দল কলেজে এলে তাদের প্রয়োজনীয় সব কাগজপত্র ও ব্যাংকের হিসাব নম্বর দেওয়া হয়েছে।
এরআগে বিএম কলেজে ভর্তিতে অতিরিক্ত টাকা নেওয়া এবং এ টাকার রশিদ না দেওয়ার অভিযোগ নিয়ে গত ২৯ সেপ্টেম্বর একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়।