কুড়িগ্রামের উলিপুর উপজেলায় বিক্রি হয়ে যাওয়া ১৬ বস্তা সরকারি বই উদ্ধার করা হয়েছে। উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসের হেফাজতে থাকা এসব সরকারি বই কালোবাজারে বিক্রির অভিযোগে আব্দুর রহিম নামে একজনকে জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালতে। এছাড়াও উদ্ধার করা ১৬ বস্তা বই জব্দ করা হয়। এ ঘটনায় জড়িত উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসের কর্মচারী (নৈশপ্রহরী) শহিদুল ইসলামের (৪২) বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করার প্রস্তুতি চলছে।
রোবরার (৯ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উলিপুর উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) সোহেল সুলতান জুলকার নাঈম কবির অভিযুক্ত আব্দুর রহিমকে এ সাজা দেন। এসময় উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার আব্দুর রবসহ পুলিশের একটি দল উপস্থিত ছিলেন।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা যায়, ২০১৮ ও ১৯ সালের প্রথম শ্রেণি থেকে নবম শ্রেণির বিভিন্ন বিষয়ের মাদরাসার সরকারি বই মদিনাতুল উলুম মাদরাসার গোডাউন থেকে কর্তৃপক্ষের অগোচরে কালোবাজারে বিক্রয় করেন শিক্ষা অফিসের নৈশ প্রহরী শহিদুল ইসলাম। রোববার সকালে শহরের সরকারি খাদ্য গুদামের গেট সংলগ্ন জনৈক শাহাবুদ্দিন ওরফে সাহেব আলীর দোকানের সামনে থেকে ১৬ বস্তা সরকারি বই আটক করে জনগণ। এ খবর পেয়ে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সহকারী কমিশনার (ভূমি) সোহেল সুলতান জুলকার নাঈম কবির, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার আব্দুর রবসহ থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে বইগুলো জব্দ করে গুদাম সিলগালা করে দেন। এসময় আব্দুর রহিম (৫০) নামে এ ব্যক্তিকে আটক করা হয়। আটক আব্দুর রহিম দিনাজপুর জেলার পার্বতীপুর উপজেলার কালাইঘাটি কাজিপাড়া গ্রামের বছির উদ্দিনের ছেলে।
এসময়আব্দুর রহিম স্বীকার করেন বইগুলি তিনি উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসের হেফাজতে থাকা মদিনাতুল উলুম মাদরাসার গোডাউন থেকে নৈশ প্রহরী শহিদুল ইসলামের মাধ্যমে ৯হাজার টাকায় কিনেছেন। সরকারি বই কালোবাজারে বিক্রয়ের ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে উলিপুর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার আব্দুর রব দৈনিক শিক্ষাডটকমকে জানান, এ ব্যাপারে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
এ ঘটনায় উলিপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মোয়াজ্জেম হোসেন দৈনিক শিক্ষাডটকমকে জানান, অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
ভ্রাম্যমান আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) সোহেল সুলতান জুলকার নাঈম কবির দৈনিক শিক্ষাডটকমকে জানান, সরকারি বই সঙ্গে থাকার কারণে একজনকে ২০০ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। ঘটনার সাথে জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারকে বলা হয়েছে।