বিচারক নয়, শিক্ষককে হতে হবে বন্ধুর মতো: সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম

দৈনিকশিক্ষা ডেস্ক |

শিক্ষকরা কখনো বিচারকের মতো আচরণ করবেন না। তাঁদের হতে হবে বন্ধুর মতো। শিক্ষককে ধৈর্যশীল ও স্নেহশীল হতে হবে। শিক্ষককে আস্থা দিয়ে, ভালোবাসা দিয়ে একজন শিক্ষার্থীর মন জয় করতে হবে। এটা না হলে তিনি আর শিক্ষক থাকবেন না। গতকাল মঙ্গলবার আলাপচারিতায় এসব কথা বলেন শিক্ষাবিদ ও গবেষক অধ্যাপক ড. সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক এই শিক্ষক বলেন, ‘শাস্তি হলো আদরের বহিঃপ্রকাশ। একজন শিক্ষক কখন শাস্তি দেবেন, যখন তিনি একজন শিক্ষার্থীকে আদর করতে জানবেন। আমাদের সময় শিক্ষকরা শাস্তি দিতেন। তবে তা ছিল একেবারেই সহনীয়। আর শিক্ষককে সব সময় সব শিক্ষার্থীর প্রতি নিরপেক্ষ থাকতে হবে। আমাদের সঙ্গে একজন পোস্ট অফিসের কেরানির সন্তান পড়তেন, আবার উচ্চবিত্ত পরিবারের সন্তানও পড়তেন। আমাদের শিক্ষকরা কখনোই দুজনের সঙ্গে পৃথক আচরণ করতেন না। শিক্ষকরা আমাদের শাস্তি দিয়েছেন যাতে আমরা মানুষ হই।’

এই শিক্ষাবিদ বলেন, ‘অরিত্রীর বদলে যদি একজন মন্ত্রী, সাংসদ বা সচিবের মেয়ে হতো তাহলে কি ওই শিক্ষক এই আচরণ করতে পারতেন? আমি বুকে হাত দিয়ে বলতে পারি, অরিত্রী যদি মন্ত্রীর মেয়ে হতো তাহলে তাকে হয়তো ডাকাই হতো না। অতএব একজন শিক্ষক একেকজনের সঙ্গে একেক রকম আচরণ করলে তিনি শিক্ষক হওয়ার যোগ্যতা হারিয়েছেন।’

ড. সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম বলেন, ‘একজন শিক্ষক হওয়া মাত্রই তাঁকে জানতে হবে, তাঁর টাকা-পয়সা বেশি হবে না। শিক্ষার্থীদের মন জয় করতে হবে, ধৈর্য ধরতে হবে, ভালোবাসতে হবে। যেকোনো সমস্যা আদরের মাধ্যমেই সমাধান করতে হবে। এ ছাড়া কাউকে অপমান করার অধিকার কোনো শিক্ষকের নেই। একটা স্কুল হচ্ছে একটা বাচ্চার সেকেন্ড হোম। এখানে এসে যদি একজন শিক্ষার্থী শাস্তি পায় তাহলে সে তার ভুবনটা হারাবে।’

বিশিষ্ট এই শিক্ষাবিদ বলেন, ‘বর্তমানে শিক্ষকরা যন্ত্রে পরিণত হয়েছেন। তাঁরা প্রাইভেট-টিউশনিতে ব্যস্ত। তবে এই সংখ্যা মোট শিক্ষকের ২০ থেকে ২৫ শতাংশের বেশি হবে না। তবে একটা প্রতিষ্ঠানকে ধ্বংস করতে এই সংখ্যাই যথেষ্ট।

 

সৌজন্যে: কালের কণ্ঠ


পাঠকের মন্তব্য দেখুন
দেশে তিন দিনের হিট অ্যালার্ট জারি - dainik shiksha দেশে তিন দিনের হিট অ্যালার্ট জারি আকাশে তিনটি ড্রোন ধ্বংস করেছে ইরান, ভিডিয়ো প্রকাশ - dainik shiksha আকাশে তিনটি ড্রোন ধ্বংস করেছে ইরান, ভিডিয়ো প্রকাশ অভিভাবকদের চাপে শিক্ষার্থীরা আত্মকেন্দ্রিক হয়ে উঠছেন - dainik shiksha অভিভাবকদের চাপে শিক্ষার্থীরা আত্মকেন্দ্রিক হয়ে উঠছেন আমি সরকার পরিচালনা করলে কৃষকদের ভর্তুকি দিবই: প্রধানমন্ত্রী - dainik shiksha আমি সরকার পরিচালনা করলে কৃষকদের ভর্তুকি দিবই: প্রধানমন্ত্রী বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে মামলা ১২ হাজারের বেশি - dainik shiksha বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে মামলা ১২ হাজারের বেশি শিক্ষকদের অবসর সুবিধা সহজে পেতে কমিটি গঠন হচ্ছে - dainik shiksha শিক্ষকদের অবসর সুবিধা সহজে পেতে কমিটি গঠন হচ্ছে শিক্ষকদের শূন্যপদ দ্রুত পূরণের সুপারিশ - dainik shiksha শিক্ষকদের শূন্যপদ দ্রুত পূরণের সুপারিশ ইরানে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালালো ইসরায়েল - dainik shiksha ইরানে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালালো ইসরায়েল কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0052180290222168