‘জ্ঞাত আয়ের সঙ্গে অসামঞ্জস্যপূর্ণ সম্পদ অর্জনের’ অভিযোগে অনলাইন সংবাদমাধ্যম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম এবং এর প্রধান সম্পাদক তৌফিক ইমরোজ খালিদীর বিষয়ে অনুসন্ধান শুরু করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন। দুদক তৌফিক ইমরোজকে আগামী ১১ নভেম্বর দুদক কার্যালয়ে তলব করেছে।
গতকাল বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম কার্যালয়ে পাঠানো দুদকের এক চিঠিতে বলা হয়, তৌফিক ইমরোজ খালিদীর নিজের এবং বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের হিসাবে ‘বিপুল পরিমাণ টাকা স্থানান্তরের মাধ্যমে অবস্থান গোপন’ এবং বিভিন্ন ‘অবৈধ কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে জ্ঞাত আয়ের সঙ্গে অসামঞ্জস্যপূর্ণ সম্পদ’ অর্জনের অভিযোগে তাঁর বক্তব্য জানা প্রয়োজন।
ওই চিঠিতে তৌফিক ইমরোজ খালিদীকে আগামী ১১ই নভেম্বর আনীত অভিযোগের বিষয়ে দুদকে এসে বক্তব্য দিতে বলা হয়। সঠিকভাবে হিসাব দিতে না পারলে তার বিরুদ্ধে মামলা হবে বলে জানা যায়।
এদিকে বিডিনিউজে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে তৌফিক ইমরোজ খালিদী দাবি করেন, কোনো অনিয়ম, দুর্নীতি বা বেআইনি কর্মকাণ্ডে আমি কখনও জড়িত ছিলাম না। ‘জ্ঞাত আয়ের সাথে অসামঞ্জস্যপূর্ণ’ কোনো সম্পদ আমার নেই। তিনি বলেন, প্রতিবছর নিয়মিতভাবে এবং স্বচ্ছতার সঙ্গে আয়কর বিবরণী জমা দিয়ে আসছি।’
সম্প্রতি একটি অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট কোম্পানির কাছে কিছু শেয়ার বিক্রির পর কোম্পানিতে আমার মালিকানা এখন ৮ শতাংশের সামান্য বেশি। এ সংক্রান্ত সব কাগজপত্রই সরকারের সংশ্লিষ্ট দপ্তরের কাছে আছে।
তিনি বলেন, ‘আমি অত্যন্ত বিস্মিত; ব্যক্তিগতভাবে এটা আমার জন্য বেদনার।’
খালিদী বলেন, আমি সবসময়ই আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল এবং এই অভিযোগ আমি আইনিভাবেই মোকাবেলা করব।
ইংরেজি দৈনিক ডেইলি স্টার থেকে দুইবার চাকরিহানা হন খালিদী। এরপর লন্ডনে গিয়ে বিবিসিতে কয়েকবছর সাংবাদিকতা করে দেশে ফিরে আসেন। এরপর থেকে দেশের প্রথম অনলাইন সংবাদপত্র বিডিনিউজটোয়েন্টিফোরডটকম-এর কিনে নেন। বিডিনিউজের প্রতিষ্ঠাতা বিশিষ্ট সাংবাদিক আলমগীর হোসেন বর্তমানে বার্তা২৪ডটকম নামে একটি নতুন ডিজিটাল পত্রিকার প্রতিষ্ঠাতা ও সম্পাদক। আলমগীর হোসেন দীর্ঘদিন দৈনিক ইত্তেফাক ও সমকালে কাজ করেছেন। তিনি বাংলানিউজটোয়েন্টিফোরেরও প্রধান সম্পাদক ছিলেন।