বিদেশে থেকেই কমিটি অনুমোদন : এইচএসটিটিআই পরিচালকের বিরুদ্ধে তদন্তে মন্ত্রণালয়

নিজস্ব প্রতিবেদক |

উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষক প্রশিক্ষণ ইন্সটিটিউট (এইচএসটিটিআই) খুলনার পরিচালক ড. মো. আতিকুল ইসলাম পাঠানের বিরুদ্ধে অনিয়ম ও প্রতিষ্ঠানে অননুমোদিতভাবে অনুপস্থিত থাকার বিষয়ে তদন্ত শুরু করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের প্রশিক্ষণ শাখার উপসচিব মো. ইব্রাহিম ভূঞা ১৪ জুলাই এক পত্রের মাধ্যমে সরকারি বিএল কলেজের অধ্যক্ষকে তদন্তপূর্বক প্রতিবেদন প্রেরণের নির্দেশ দিয়েছেন।

পরিচালক ড. মো. আতিকুল ইসলাম সৌদি আরবে হজ পালনের জন্য ছুটিতে থাকাকালীন এইচএসটিটিআইয়ের রাজস্ব বাজেট অনুযায়ী বিভিন্ন খাতে ব্যয় ও ক্রয় কমিটিতে তার স্বাক্ষর থাকাকে কেন্দ্র করে ধূম্রজালের সৃষ্টি হয়েছে। তিনি বিদেশে বসেই কমিটির অনুমোদন কীভাবে দিলেন এমন প্রশ্নের বিষয়ে সন্তোষজনক উত্তর পাওয়া যায়নি। এমনকি মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে তদন্তকারী কর্মকর্তা সরেজমিন এইচএসটিটিআইতে গিয়েও পরিচালককে প্রতিষ্ঠানে অনুপস্থিত পেয়েছেন।

মন্ত্রণালয়ের পত্রে পরিচালক ড. আতিকের যেসব অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত করা হয়েছে তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য ছিল খুলনায় যোগদানের পর থেকে তিনি অফিসের টাকা ক্যাশিয়ারের কাছ থেকে নিয়ে নিজের কাছে রাখেন এবং ভুয়া ভাউচারের মাধ্যমে সমন্বয় করেন। এ ছাড়া তিনি যোগদানের পর থেকে অফিসে নিয়মিত অবস্থান করেন না। এমনকি রেজিস্টার খাতায় ভুল তারিখ লিখে দীর্ঘসময় ঢাকায় অবস্থান করেন। প্রতিষ্ঠানের যে বিশেষ দিবসগুলোতে সম্মানী ভাতা থাকে তিনি সেদিন উপস্থিত থাকেন। এমনকি চলতি বছরের বৈশাখী ভাতার চেক পরিচালক ঢাকায় থাকার কারণে কুরিয়ারের মাধ্যমে তার কাছে পাঠিয়ে তাতে স্বাক্ষর করা হয়।

২০১৯ সালের ২৩ জুলাই হজ পালনের জন্য সৌদি আরবে যাওয়ার জন্য অনুমতি মেলে পরিচালক ড. আতিকের। মন্ত্রণালয়ের প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী তার ছুটি মঞ্জুর হয় ২০১৯ সালের ২ আগস্ট থেকে একই মাসের ৩১ আগস্ট পর্যন্ত। তবে তিনি এইচএসটিটিআই থেকে হজের ছুটির জন্য চলে যান ২০ জুলাই। অথচ প্রতিষ্ঠানটির ২০১৯-২০ অর্থবছরের রাজস্ব বাজেট অনুযায়ী বিভিন্ন খাতে ব্যয় ও ক্রয় কমিটি গঠন করা হয় ৫ আগস্ট। যার অনুমোদনপত্রে পরিচালকের স্বাক্ষর রয়েছে। তিনি বিদেশে ছুটিতে থাকাকালীন কমিটির অনুমোদন করা নিয়ে রয়েছে নানা সমালোচনা।

এইচএসটিটিআইয়ের পরিচালক ড. আতিক বলেন, যে আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে তদন্ত করা হয়েছে সেটা বেনামি ছিল। প্রতিষ্ঠানের তিনজন কর্মকর্তার স্বাক্ষর জাল করে অভিযোগটা করা হয়েছিল। যাদের নাম ব্যবহার করা হয়েছিল তারা এফিডেভিট করে জানিয়েছেন আবেদনটি তারা করেননি। হজের ছুটি চলাকালীন কমিটি কীভাবে হল এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি দাবি করেন, আমি কমিটি করেই হজে গিয়েছি। অথচ অফিসের মুভমেন্ট রেজিস্টারের সঙ্গে তার এ কথার মিল পাওয়া যায়নি।

তদন্তকারী কর্মকর্তা ও সরকারি বিএল কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর কেএম আলমগীর হোসেন জানান, আমি মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে সরেজমিন এইচএসটিটিআইতে গিয়ে তদন্ত করেছি। নিরপেক্ষভাবে তদন্ত করে যেসব নথি পেয়েছি তার ভিত্তিতে প্রতিবেদনটি মন্ত্রণালয়ে সম্প্রতি পাঠানো হয়েছে।


পাঠকের মন্তব্য দেখুন
জড়িত মনে হলে চেয়ারম্যানও গ্রেফতার: ডিবির হারুন - dainik shiksha জড়িত মনে হলে চেয়ারম্যানও গ্রেফতার: ডিবির হারুন পছন্দের স্কুলে বদলির জন্য ‘ভুয়া’ বিবাহবিচ্ছেদ - dainik shiksha পছন্দের স্কুলে বদলির জন্য ‘ভুয়া’ বিবাহবিচ্ছেদ হিট স্ট্রোকের ঝুঁকি কমাতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্দেশনা - dainik shiksha হিট স্ট্রোকের ঝুঁকি কমাতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্দেশনা সনদ বাণিজ্য : কারিগরি শিক্ষা বোর্ড চেয়ারম্যানের স্ত্রী কারাগারে - dainik shiksha সনদ বাণিজ্য : কারিগরি শিক্ষা বোর্ড চেয়ারম্যানের স্ত্রী কারাগারে কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে উপবৃত্তির জন্য সব অ্যাকাউন্ট নগদে রূপান্তরের নির্দেশ - dainik shiksha উপবৃত্তির জন্য সব অ্যাকাউন্ট নগদে রূপান্তরের নির্দেশ সপ্তম শ্রেণিতে শরীফার গল্প থাকছে, বিতর্কের কিছু পায়নি বিশেষজ্ঞরা - dainik shiksha সপ্তম শ্রেণিতে শরীফার গল্প থাকছে, বিতর্কের কিছু পায়নি বিশেষজ্ঞরা জাতীয়করণ আন্দোলনের শিক্ষক নেতা শেখ কাওছার আলীর বরখাস্ত অনুমোদন - dainik shiksha জাতীয়করণ আন্দোলনের শিক্ষক নেতা শেখ কাওছার আলীর বরখাস্ত অনুমোদন ১৭তম ৩৫-প্লাস শিক্ষক নিবন্ধিতদের বিষয়ে চেম্বার আদালত যা করলো - dainik shiksha ১৭তম ৩৫-প্লাস শিক্ষক নিবন্ধিতদের বিষয়ে চেম্বার আদালত যা করলো দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে তিন স্তরে সনদ বিক্রি করতেন শামসুজ্জামান, দুদকের দুই কর্মকর্তার সম্পৃক্ততা - dainik shiksha তিন স্তরে সনদ বিক্রি করতেন শামসুজ্জামান, দুদকের দুই কর্মকর্তার সম্পৃক্ততা please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0055611133575439