নগরীর মোহাম্মদপুরের কলেজগেটের গজনবী রোডে সরকারি মোহাম্মদপুর মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজের দেয়াল ঘেঁষে ৪-৫টি ডাস্টবিন রাখা হয়েছে। এতে প্রতিনিয়ত দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন এ স্কুলের শিক্ষার্থীরা। নাক চেপে ধরে চলাচল করে তারা। এসটিএস না থাকায় এ সড়কে খোলা আকাশের নিচে ময়লার স্তূপ করে রাখা হয়েছে। বর্জ্যর উৎকট গন্ধের কারণে চলাচলে সমস্যায় পড়েন পথচারীরা। আশপাশের বাসাবাড়ির মানুষও দুর্গন্ধে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছেন।
সরকারি মোহাম্মদপুর মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী জান্নাতুল ফেরদৌস বলেন, আমি প্রতিদিন স্কুলে আসা-যাওয়া করি। কিন্তু ময়লার উৎকট গন্ধে বমি চলে আসে। স্কুলে গেলে মনে হয় শরীর থেকে ময়লার গন্ধ বের হচ্ছে। সে আরও বলে, সরকার প্রধানের কাছে আমি বলতে চাই- এই ডাস্টবিন স্কুলের পাশ থেকে সরিয়ে নেয়া হোক।
এক শিক্ষার্থীর অভিভাবক মো. সাজ্জাদ বলেন, আমি প্রতিদিন মোটরসাইকেলে করে আমার ছেলেকে স্কুলে দিতে আসি। আসার সময় যানজটে আটকা পড়ি। এ সময় গন্ধে আমারই বমি চলে আসে। আর বাচ্চাদের কী দশা হয় বলুন। স্কুলের পাশ থেকে ডাস্টবিন সরিয়ে নেয়ার জন্য স্থানীয় কাউন্সিলরের কাছে আপনাদের মাধ্যমে অনুরোধ করছি।
ময়লার দুর্গন্ধ পরিবেশের ওপর কী ধরনের প্রভাব পড়ে সে বিষয়ে জানতে চাইলে পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিচালক ড. মো. সোহরাব আলী বলেন, ময়লার দুর্গন্ধে মানুষের শারীরিক সমস্যা হতে পারে। এতে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয় শিশু ও বয়োজ্যেষ্ঠরা। তিনি বলেন, ময়লা বেশিদিন জমিয়ে রাখলে পরিবেশের ক্ষতি হয়। সিটি কর্পোরেশনের উচিত একটি নির্দিষ্ট জায়গায় ময়লা ফেলা, যাতে পরিবেশের কোনো ক্ষতি না হয়।
সরকারি মোহাম্মদপুর মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ লে. কর্নেল কাজী শরীফ উদ্দিন বলেন, এ সরকার শিক্ষাবান্ধব সরকার। ছাত্র-ছাত্রীদের স্কুল-কলেজে আসার পথটা যেন সবসময় দুর্গন্ধমুক্ত হয়। এটা কর্তৃপক্ষ করবে বলে প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন তিনি।
ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) ৩২নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর হাবিবুর রহমান (মিজান) বলেন, এ ডাস্টবিন সরানোর কোনো জায়গা আমাদের নেই। আমি এখনই এটার ব্যবস্থা নিচ্ছি, যাতে শিক্ষার্থীদের চলাচলে কোনো বাধা না আসে। এখান থেকে যেন ময়লা ভোরে সরিয়ে নেয়া হয় ও ব্লিসিং পাউডার ছিটিয়ে দেয়া হয়, যাতে ময়লার দুর্গন্ধ ছড়িয়ে না পড়ে।