পটুয়াখালীর গলাচিপায় কোনো কারণ ছাড়াই চলতি বছরের মে মাস থেকে এমপিওভুক্ত কর্মচারী মারুফার বেতন বন্ধ রেখেছে কর্তৃপক্ষ। এক শিশুসন্তান নিয়ে এখন মানবেতর জীবনযাপন করছেন অফিস সহকারী মারুফা। এ ঘটনা ঘটেছে উপজেলার চিকনিকান্দি ইউনিয়নের চিকনিকান্দি ইসলামিয়া দাখিল মাদরাসায়।
মারুফা ২০১৭ খ্রিষ্টাব্দে থেকে চিকনিকান্দি ইসলামিয়া দাখিল মাদরাসায় অফিস সহকারী পদে চাকরি করে আসছেন। চলতি বছরের এপ্রিল মাস পর্যন্ত তাকে বেতন দেওয়া হলেও অদৃশ্য কারণে মে মাস থেকে তার বেতন বন্ধ করে দেওয়া হয়।
মারুফা জানান, করোনার সময় সারাদেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মতো তার মাদরাসাও বন্ধ। পারিবারিক সমস্যার কারণে চার বছরের একমাত্র কন্যা নিয়ে দশমিনা উপজেলা সদরে সবুজবাগ এলাকায় বাবা আবদুল হাইয়ের বাড়িতে থাকেন। মে মাসের বেতন তুলতে গিয়ে জানতে পারেন তার বেতন বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। কোনো কারণ ছাড়াই মাদ্রাসা বন্ধ থাকাকালে হঠাৎ এভাবে বেতন বন্ধ করে দেওয়ায় পাঁচ মাস ধরে মানবেতর জীবনযাপন করছেন তিনি।
ওই মাদরাসা সুপার আবদুর রহিম বলেন, মাদরাসা ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতির নির্দেশে মারুফার বেতন বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। আমি অসহায়। আমার কোনো কিছু করার নেই।'
মাদরাসা ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি ও চিকনিকান্দি ইউপি চেয়ারম্যান সাজ্জাদ হোসেনের সঙ্গে বারবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।