মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষকদের চাকরির বয়সসীমা ৩০ বছর। সেখানে ২৬ বছর ধরে বিনা বেতনে শিক্ষকতা করছেন রাজশাহীর চারঘাট উপজেলার শিক্ষক সাদ্দাদ হোসেন। কিন্তু এখনও এমপিওভুক্তির তালিকায় ওঠেনি তার নাম।
তিনি উপজেলার জাকরপুর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ইংরেজী বিষয়ের সহকারী শিক্ষক। বেতনভুক্ত না হলেও মহান এই পেশাটি ছাড়েননি সাদ্দাদ হোসেন। চাতক পাখির মতো এমপিওভুক্তির আশায় পাঠদান করাচ্ছেন।
সরকারের প্রতি সম্মান ও বিশ্বাস নিয়ে হাজারো শিক্ষার্থীকে আলোকিত করে চলেছেন বঙ্গবন্ধুর আদর্শে বিশ্বাসী এই শিক্ষক। বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ন্যায়নীতির প্রতি শ্রদ্ধাশীল সাদ্দাদ হোসেন।
দীর্ঘদিন থেকেই আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত রয়েছেন। উপজেলার শলুয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের ওয়ার্ড সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন তিনি।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, বিদ্যালয়টির নিম্ন মাধ্যমিক শাখা এমপিওভুক্ত হলেও বাদ রয়েছে উচ্চ মাধ্যমিক শাখা। ফলে দীর্ঘ ২৬ বছর ধরে শিক্ষার আলো ছড়ালেও বেতনভুক্তির আওতায় আসছে না সাদ্দাদ হোসেনের নাম। সাদ্দাদ হোসেন বলেন, আমার আর মাত্র ৪টি বছর সামনে আছে। দল ক্ষমতায় থাকার পরেও এমপিওভুক্তি না হওয়াটা অনেক কষ্টের।
সন্তানদের পড়াশোনার খরচসহ সংসার পরিচালনায় হিমশিম খেতে হচ্ছে। তাই এমপিওর জন্য প্রধানমন্ত্রীর কাছে জোরালো মিনতি জানান তিনি।
এদিকে এমপিওভুক্ত না হওয়ার পেছনের কারণ জানতে চাইলে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ইছাহাক আলী বলেন, আমাদের জায়গা থেকে সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি। ঢাকায় আবেদনও করা আছে। সারাদেশে দীর্ঘদিন এমপিওভুক্তি বন্ধ থাকায় এই দুরবস্থা তৈরি হয়েছে। আশা করি দ্রুতই সমাধান হবে।