সপ্তম শ্রেণির বাংলা বইয়ের 'বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও মুক্তিযুদ্ধকে জানি' বিষয়ক শিখনফল অর্জনে বিশেষ পদ্ধতিতে ধারাবাহিক মূল্যায়নের নির্দেশ দিয়েছে শিক্ষা অধিদপ্তর। বৃহস্পতিবার (১৮ জুলাই) সব প্রতিষ্ঠান প্রধানকে বিষয়টি জানাতে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর থেকে এ সংক্রান্ত পরিপত্র জারি করা হয়। পরিপত্রে ধারাবাহিক মূল্যায়নের বিশেষ কার্যক্রম গ্রহণের বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরা হয়েছে।
বাংলা বইয়ের 'বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও মুক্তিযুদ্ধকে' জানি বিষয়ক শিখনফল অর্জনে বিশেষ প্রক্রিয়ায় বলা হয়, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের কয়েকটি দলে ভাগ করা হবে। একটি দলে আট থেকে দশজন শিক্ষার্থী থাকবে। শিক্ষার্থীরা একজন শিক্ষকের নেতৃত্বে স্থানীয় এলাকার বীর মুক্তিযোদ্ধা, শহীদ বা প্রয়াত মুক্তিযোদ্ধার নিকটজন বা মুক্তিযুদ্ধের প্রত্যক্ষ অভিজ্ঞতা আছে এমন কারো কাছে যাবেন। শিক্ষার্থীরা নমুনা প্রশ্নের আলোকে তাঁদের সাক্ষাৎকার গ্রহণ করবেন। এজন্য নমুনা প্রশ্ন মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর থেকে কিছুদিনের মধ্যেই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোকে সরবরাহ করা হবে।
সাক্ষাৎকারের সময় কয়েকজন শিক্ষার্থী লিখবে এবং কয়েকজন শিক্ষার্থী ভিডিও ধারণ করবে। যা দিয়ে শিক্ষার্থীদের ২০ মিনিটের একটি ভিডিওচিত্র বানাতে হবে। এছাড়া ভিডিওতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতি ও অবদান, রণাঙ্গন বদ্ধভূমি ও মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতি বিজড়িত যেকোন কিছু স্থান পেতে পারে বলে জানিয়েছে শিক্ষা অধিদপ্তর। সাক্ষাৎকারের উপর লিখিত প্রতিবেদনও তৈরি করতে হবে শিক্ষার্থীদের।
দলগতভাবে শিক্ষার্থীদের তৈরি করা এসব ভিডিও চিত্র ও লিখিত প্রতিবেদন নির্ধারিত সময়ে জমা নেবেন বাংলা শিক্ষক ভিডিওচিত্র ও লিখিত প্রতিবেদন জমা দেওয়া ধারাবাহিক মূল্যায়নের অংশ হিসেবে বিবেচিত হবে।
সাক্ষাৎকারের লিখিত প্রতিবেদন ও ভিডিওচিত্রের উপর শিক্ষার্থীদের নম্বর দিবেন বাংলার শিক্ষক। এ কার্যক্রমের জন্য ১০ নাম্বার দেয়া হবে। শিক্ষার্থীদের লিখিত প্রতিবেদনের ওপর পাঁচ নাম্বার এবং ভিডিও চিত্রের উপর পাঁচ নাম্বার। এ নাম্বার সপ্তম শ্রেণির বাংলা ধারাবাহিক মূল্যায়ণের অংশ হিসেবে যোগ হবে
সে প্রেক্ষিতে সপ্তম শ্রেণির বাংলা প্রথম পত্র বিষযয়ের ধারাবাহিক মূল্যায়নের নম্বর বিভাজন হবে, সাক্ষাৎকারের লিখিত প্রতিবেদনে জন্য ৫ নাম্বার ভিডিওচিত্রের জন্য ৫ নাম্বার শ্রেণি পরীক্ষায় ১০ নাম্বার। মোট ২০ নম্বর।
শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো শিক্ষার্থীদের ভিডিওচিত্র ও লিখিত প্রতিবেদন সংরক্ষণ করবে। পরবর্তীতে বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানে এসব সাক্ষাৎকারের ভিডিওচিত্র তুলে ধরা হবে। প্রদর্শনীতে প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থান অধিকারীদের পুরস্কৃত করা হবে।
প্রতিষ্ঠান প্রধান রা শিক্ষার্থীদের সংগ্রহ করা ভিডিও ক্লিপ থেকে সমন্বয় করে শিক্ষকদের সহায়তা নিয়ে একটি ডকুমেন্টারি ভিডিওচিত্র তৈরি করবেন এবং তা উপজেলা কমিটিকে প্রেরণ করবেন। উপজেলা পর্যায়ের সেরা ভিডিওচিত্রকে জেলায়, জেলা পর্যায়ের সেরা ভিডিওচিত্রকে আঞ্চলিক পর্যায়ে পাঠানো হবে। আঞ্চলিক পর্যায়ে প্রাপ্ত ডকুমেনন্টারিগুলো থেকে প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় নির্বাচন করে জাতীয় পর্যায়ে পাঠানো হবে।
জাতীয় পর্যায়ে কমিটির পাওয়া ডকুমেন্টারিগুলো থেকে ১০টি ডকুমেন্টারিকে বিজয়ী ঘোষণা করা হবে। এছাড়া এ ১০টি ডকুমেন্টারি অবলম্বনে আরও দুইটি ডকুমেন্টারি তৈরি করা হবে।
এছাড়া ২০২০ খ্রিষ্টাব্দের ১৭মার্চ বঙ্গবন্ধুর জন্ম শতবার্ষিকী এবং ২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে শিক্ষার্থী শিক্ষকদের তৈরি এসব ডকুমেন্টারি দেখাতে হবে।