মুসলিম বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম ধর্মীয় সমাবেশ ঐতিহাসিক বিশ্ব ইজতেমা। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সম্মানিত অতিথিবৃন্দসহ দেশের অভ্যন্তরের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে লক্ষ লক্ষ ধর্মপ্রাণ মানুষ বিশ্ব ইজতেমা প্রান্তরে সমবেত হন। ধর্মীয় জমায়েত নির্বিঘ্ন করতে ইতোমধ্যে বিশ্ব ইজতেমা ২ পর্বে সম্পন্ন করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে। এ বিপুল সংখ্যক ধর্মপ্রাণ মানুষের যাতায়াত নির্বিঘ্ন করতে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ যানবাহন পার্কিং এর জন্য নিম্নোক্ত স্থানসমূহ নির্ধারণ করেছে । ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) এ নির্দেশনা দিয়েছে।
বিশ্ব ইজতেমার তারিখ
১ম পর্বঃ আগামী ১৫ ফেব্রুয়ারি হতে ১৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত।
২য় পর্বঃ আগামী ১৭ ফেব্রুয়ারি হতে ১৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত।
গাড়ি পার্কিং সংক্রান্ত তথ্যাদিঃ
১। রেইনবো ক্রসিং হতে আব্দুল্লাহপুর হয়ে ধউর ব্রিজ পর্যন্ত এবং রামপুরা ব্রিজ হতে প্রগতি সরণী পর্যন্ত রাস্তা ও রাস্তার পার্শ্বে কোন যানবাহন পার্কিং করা যাবে না ।
২। ইজতেমায় আগত সম্মানিত মুসল্লীদের যানবাহনসমূহ নিম্নবর্ণিত স্থানসমূহে (বিভাগ অনুযায়ী ) যথাযথভাবে পার্কিং করবেনঃ
ক) চট্রগাম বিভাগ পার্কিং: গাউসুল আজম এভিনিউ (১৩ নং সেক্টর রোডের পূর্বপ্রান্ত হতে পশ্চিমপ্রান্ত হয়ে গরীবে নেওয়াজ রোড) ।
খ) ঢাকা বিভাগ পার্কিং: সোনারগাঁও জনপথ চৌরাস্তা হতে দিয়াবাড়ি খালপাড় পর্যন্ত।
গ) সিলেট বিভাগ পার্কিং: উত্তরাস্থ ১৫ নং সেক্টর খালপাড় হতে দিয়াবাড়ি গোলচত্ত্বর পর্যন্ত।
ঘ) খুলনা বিভাগ পার্কিং: উত্তরাস্থ ১৭ ও ১৮ নং সেক্টরের খালি জায়গা (প্রধান সড়কসহ) ।
ঙ) রংপুর, রাজশাহী ও ময়মনসিংহ বিভাগ পার্কিং: প্রত্যাশা হাউজিং ।
চ) বরিশাল বিভাগ পার্কিং: ধউর ব্রিজ ক্রসিং সংলগ্ন বিআইডব্লিউটিএ ল্যান্ডিং স্টেশন ।
ছ) ঢাকা মহানগর পার্কিং: উত্তরাস্থ শাহজালাল এভিনিউ, নিকুঞ্জ-১ এবং নিকুঞ্জ-২ এর আশপাশের খালি জায়গা ।
৩। নির্ধারিত পার্কিং স্থানে মুসল্লীবাহী যানবাহন পার্কিং এর সময় অবশ্যই গাড়ির চালক/হেলপার গাড়িতে অবস্থান করবেন এবং মালিক ও চালক একে অপরের মোবাইল নম্বর নিয়ে রাখবেন, যাতে বিশেষ প্রয়োজনে তাৎক্ষণিকভাবে পারস্পরিক যোগাযোগ করা যায় ।
ডাইভারশন সংক্রান্ত তথ্যাদি
৪। ডাইভারশন পয়েন্টসমূহ (শুধুমাত্র আখেরী মোনাজাতের দিন আগামী ১৬ ফেব্রুয়ারি ও ১৮ ফেব্রুয়ারি ভোর ৪ টা হতে )
মহাখালী ক্রসিং
হোটেল রেডিসন গ্যাপ
প্রগতি সরণী
কুড়িল ফ্লাইওভারের নিচে লুপ-২
ধউর ব্রিজ
বেড়িবাঁধ সংলগ্ন উত্তরা ১৮নং সেক্টরের প্রবেশ মুখ
৫। ডাইভারশন চলাকালীন
আশুলিয়া হতে আব্দুল্লাহপুরগামী যানবাহনসমূহ আব্দুল্লাহপুর না এসে ধউর ব্রিজ ক্রসিং দিয়ে ডানে মোড নিয়ে মিরপুর বেড়িবাঁধ দিয়ে চলাচল করবে।
মহাখালী বাস টার্মিনাল হতে আব্দুল্লাহপুরগামী আন্তঃজেলা বাস, ট্রাক, কাভার্ডভ্যানসহ সকল প্রাকার যানবাহন মহাখালী ক্রসিং-এ বামে মোড় নিয়ে বিজয় সরণী-গাবতলী দিয়ে চলাচল করবে ।
কাকলী, মিরপুর হতে উত্তরাগামী বড় বাস, ট্রাক, কাভার্ডভ্যানসমূহকে হোটেল রেডিসন গ্যাপে ডাইভারশন প্রদান করা হবে। উল্লিখিত যানবাহনসমূহকে বিকল্প সড়ক ব্যবহারের জন্য বলা হলো।
কাকলী, মিরপুর হতে উত্তরাগামী প্রাইভেটকার, মাইক্রোবাস, সিএনজিসমূহকে নিকুঞ্জ-১ গেটের সামনে ডাইভারশন প্রদান করা হবে। উল্লিখিত যানবাহনসমূহকে বিকল্প সড়ক ব্যবহারের জন্য বলা হলো।
প্রগতি সরণী হতে আব্দুল্লাহপুরগামী যানবাহনসমূহ কুড়িল ফ্লাইওভারের নিচে লুপ-২ এ ডাইভারশন প্রদান করা হবে। উল্লিখিত যানবাহনসমূহকে বিকল্প সড়ক ব্যবহারের জন্য বলা হলো।
বিশ্ব ইজতেমা-২০১৯ এর আখেরী মোনাজাতের দিন অর্থাৎ ১৬ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ ও ১৮ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ তারিখ বিমান অপারেশনস ও বিমান ক্রু বহনকারী যানবাহন, ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর গাড়ি ও এ্যাম্বুলেন্স বিমান বন্দর সড়ক ব্যবহার করে চলাচল করতে পারবে।
বিশ্ব ইজতেমা-২০১৯ এর আখেরী মোনাজাতের দিন অর্থাৎ ১৬ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ এবং ১৮ ফেব্রুয়ারি,২০১৯ তারিখ বিমানের অপারেশনস ও বিমান ক্রু বহনকারী যানবাহন, ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর গাড়ি ও এ্যাম্বুলেন্স ব্যতিত সকল প্রকার যানবাহনের চালকগণকে বিমানবন্দর সড়ক পরিহার করে বিকল্প হিসেবে মহাখালী, বিজয় সরণী হয়ে মিরপুর-গাবতলী সড়ক ব্যবহার করার জন্য অনুরোধ করা হলো ।
বিশ্ব ইজতেমা-২০১৯ এর আখেরী মোনাজাতের দিন অর্থাৎ ১৬ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ ও ১৮ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ তারিখ ভোর ০৪.০০ টা হতে বিদেশগামী বা বিদেশ ফেরৎ যাত্রীদের নিকুঞ্জ-১ হতে বিমানবন্দরে আনা-নেয়ার জন্য ট্রাফিক উত্তর বিভাগের ব্যবস্থাপনায় ০২টি মিনিবাস ও ০২টি মাইক্রোবাস ফ্রি পরিবহন সেবার জন্য নিকুঞ্জ-১ আবাসিক এলাকার গেইটে মোতায়েন থাকবে।
ট্রাফিক সম্পর্কিত যে কোন তথ্যের জন্য প্রয়োজনে সিনিয়র সহকারি পুলিশ কমিশনার (উত্তরা ট্রাফিক জোন ০১৭১৩-৩৯৮৪৯৮) অথবা টিআই (উত্তরা ট্রাফিক জোন ০১৯১২-০২৫৯৩৯) নম্বরে যোগাযোগ করতে পারবেন।
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের ট্রাফিক বিভাগ বিশ্ব ইজতেমা উপলক্ষে যানবাহন চলাচলে শৃঙ্খলা রক্ষা ও যানজট এড়ানোর লক্ষ্যে সম্মানিত ধর্মপ্রাণ নাগরিকবৃন্দের সর্বাত্মক সহযোগিতা কামনা করছে ।