২০০৭ খ্রিষ্টাব্দের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ফাইনাল। জয়ের জন্য শেষ ওভারে পাকিস্তানের দরকার ৬ বলে ১৩ রান। বোলারের নাম যোগিন্দর শর্মা। ৪ বলে যখন মাত্র ৬ রান প্রয়োজন, তখনই স্কুপ খেলতে গিয়ে ধরা পড়েন অভিজ্ঞ মিসবাহ উল হক। জিতে যায় ভারত। সেই পেসার যোগিন্দর শর্মার ক্রিকেট ক্যারিয়ার বড় হয়নি। তিনি ক্রিকেট ছেড়ে যোগ দেন পুলিশে। সেই পুলিশ যোগিন্দর শর্মাকে স্যালুট জানিয়েছে বিশ্ব ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থা আইসিসি।
৩৬ বছর বয়সী যোগিন্দর এখন অনেক বড় পুলিশ অফিসার। ডেপুটি সুপার তিনি। এই সময়ে বিশ্বের মতো ভারতেও চলছে করোনা ভাইরাসের আক্রমণ। সেই দেশে চলছে ২১ দিনের লকডাউন। এই ভাইরাস থেকে মানুষকে বাঁচাতে তাদেরকে সচেতন করতে হচ্ছে। ঘরের মাঝে আটকে রাখতে হচ্ছে। এসব কাজ নিয়ে যোগিন্দরের এখন ব্যস্ততার শেষ নেই। করোনা থেকে মানুষকে বাঁচানোর মিশনে থাকা যোগিন্দর ক্যামেরাবন্দি হয়েছেন। সেই ছবি নজরে পড়েছে আইসিসির। এই বিপদের সময়ে পুলিশ-ডাক্তার-নার্সরাই তো বড় তারকা।
২০১৮ খ্রিষ্টাব্দে ক্রিকেট ছেড়ে হরিয়ানা পুলিশের বড়কর্তা হিসেবে যোগ দিয়েছিলেন এ পেসার। আইসিসি অফিশিয়াল টুইটারে যোগিন্দরের দুটি ছবি পোস্ট করেছে। প্রথম ছবিতে ২০০৭ বিশ্বকাপ ফাইনালে সতীর্থরা তাঁকে জড়িয়ে ধরছেন। পরের ছবিতে তিনি পুলিশ। ক্যাপশনে লেখা হয়েছে, ‘২০০৭ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের নায়ক। ২০২০, বাস্তবের নায়ক। পুলিশ হিসেবে ক্রিকেট পরবর্তী ক্যারিয়ারে ভারতের যোগিন্দর শর্মা বিশ্বব্যাপী এই স্বাস্থ্য বিপর্যয়ে নিজের দায়িত্বটুকু পালন করছে।’