নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটিবিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থে ট্রাস্টি সদস্যদের গাড়িবিলাস

দৈনিকশিক্ষা ডেস্ক |

শিক্ষার গুণগত মানে নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের অবস্থান প্রথম সারিতে। গবেষণার জন্য রয়েছে বিশ্বমানের ল্যাব সুবিধা। চাকরির বাজারেও ভালো করছেন এ বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্র্যাজুয়েটরা। তবে অনিয়মের নানা অভিযোগ রয়েছে ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্যদের বিরুদ্ধে। আর্থিক অনিয়ম ও স্বেচ্ছাচারিতার পর এবার অভিযোগ উঠেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থে গাড়িবিলাসের। শিক্ষার্থীদের বেতন-ফির টাকায় বিলাসবহুল সাতটি গাড়ি কিনে ব্যবহার করছেন ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্যরা। ল্যান্ড রোভারের রেঞ্জ রোভার ২০১৯ মডেলের একেকটি গাড়ি ক্রয়ে খরচ হয়েছে প্রায় ৩ কোটি টাকা। বৃহস্পতিবার (৫ ডিসেম্বর) বণিক বার্তা পত্রিকায় প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা যায়। প্রতিবেদনটি লিখেছেন সাইফ সুজন।

প্রতিবেদনে আরও জানা যায়, যদিও নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয় যে ট্রাস্টের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠিত তার ডিডে বলা হয়েছে, এ ট্রাস্ট মানবহিতৈষী, দানশীল, জনহিতকর, অরাজনৈতিক, অলাভজনক ও অবাণিজ্যিকভাবে পরিচালিত হবে। তাই ট্রাস্টের অধীনে পরিচালিত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ট্রাস্টিদের গাড়িসহ অন্য কোনো আর্থিক সুবিধা গ্রহণের সুযোগ নেই বলে জানান আইনজীবীরা।

সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মনজিল মোরশেদ বলেন, ট্রাস্ট অ্যাক্ট অনুযায়ী ট্রাস্টি সদস্যরা ট্রাস্ট থেকে কোনো অর্থ নিতে পারবেন না। তারা ট্রাস্টে অর্থ জোগান দেবেন। কিন্তু দেশের ব্যবসায়ীরা ট্রাস্ট খুলে নামে-বেনামে সিটিং অ্যালাউন্সসহ গাড়ি সুবিধা নিচ্ছেন। তদারক সংস্থাগুলোর নিষ্ক্রিয়তার সুযোগ কাজে লাগিয়ে ট্রাস্ট কিংবা বিশ্ববিদ্যালয় খুলে এগুলোকে বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানের মতো পরিচালনা করছেন তারা।

জানা যায়, নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয় বিলাসবহুল সাতটি গাড়ি কেনে গত জুনে। কেনার প্রক্রিয়ায় আছে আরো একটি গাড়ি। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের কেনা সবগুলো গাড়িই ল্যান্ড রোভারের রেঞ্জ রোভার ২০১৯ মডেলের। বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ) থেকে প্রাপ্ত তথ্যমতে, গাড়িগুলোর রেজিস্ট্রেশন নম্বর হলো ঢাকা মেট্রো-ঘ-১৮-৩৮৩৬, ঢাকা মেট্রো-ঘ-১৮-৩৮৪০, ঢাকা মেট্রো-ঘ-১৮-৩৭৬২, ঢাকা মেট্রো-ঘ-১৮-৩৭৬৩, ঢাকা মেট্রো-ঘ-১৮-৩৫৭৮, ঢাকা মেট্রো-ঘ-১৮-৩৪৪৬ ও ঢাকা মেট্রো-ঘ-১৮-৩৪৪৫।

এর মধ্যে পাঁচটি গাড়ি ক্রয়ের বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য পাওয়া গেছে। কাকরাইলের কার হাউজ থেকে কেনা হয়েছে দুটি গাড়ি। রেজিস্ট্রেশনসহ প্রতিটি গাড়ির মূল্য রাখা হয়েছে ২ কোটি ৯৬ লাখ ৫০ হাজার টাকা। কন্টিনেন্টাল মটরস, স্টার্কউড অটোস ও অটো ইমপোর্টস লিমিটেডের কাছ থেকে কেনা হয়েছে একই মডেলের একটি করে গাড়ি। এক্ষেত্রে প্রতিটি গাড়ির রেজিস্ট্রেশনসহ মূল্য রাখা হয়েছে ২ কোটি ৮১ লাখ ১০ হাজার টাকা।

নর্থ সাউথ ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান বেনজীর আহমেদ এবং সদস্য এমএ হাসেম, এমএ কাসেম, আজিম উদ্দিন আহমেদ ও ইয়াসমীন কামালসহ সাতজন গাড়িগুলো ব্যবহার করছেন। এমনকি গাড়ির জ্বালানি ও চালকের বেতনের অর্থও পরিশোধ করা হচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয় তহবিল থেকে।

রেজল্যুশন অনুযায়ী, বিলাসবহুল এসব গাড়ি কেনার দায়িত্বে ছিলেন ট্রাস্টি বোর্ডের অন্যতম সদস্য পারটেক্স গ্রুপের চেয়ারম্যান এমএ হাসেম। একটি গাড়ি তিনিও ব্যবহার করছেন। সরেজমিন গতকাল বেলা ১১টার দিকে গুলশান নর্থ এভিনিউর বাড়ি থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের নামে কেনা ঢাকা মেট্রো-ঘ-১৮-৩৭৬২ নং গাড়িটি নিয়ে বের হতে দেখা যায় তাকে। গাড়িটি নিয়ে তিনি মহাখালীতে পারটেক্স গ্রুপের কার্যালয়ে যান। সেখানে বিকাল পর্যন্ত গাড়িটি পার্ক করা ছিল। এরপর ৪টার দিকে এ গাড়িতে করেই অফিস ত্যাগ করেন এমএ হাসেম।

পারটেক্স গ্রুপের কার্যালয়ের গেটম্যানের কাছে গাড়িটির বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, গাড়িটি চেয়ারম্যান স্যারের।

যদিও গাড়ি কেনার বিষয়টি অস্বীকার করেন দ্য নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয় ট্রাস্টের সাবেক চেয়ারম্যান এমএ হাসেম। জানতে চাইলে তিনি বলেন, এ ধরনের কোনো গাড়ি কেনা হয়নি। নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয় খুবই উন্নতমানের একটি বিশ্ববিদ্যালয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের কেনা ঢাকা মেট্রো-ঘ-১৮-৩৭৬২ নং গাড়িটি ব্যক্তিগতভাবে ব্যবহার প্রসঙ্গে জানতে চাইলে তিনি এ নিয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।

আরেকটি গাড়ি ব্যবহার করছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রাস্টি বোর্ডের আরেক সদস্য এমএ কাসেম। গাড়িটি ব্যবহারের কথা স্বীকারও করেন তিনি। এমএ কাসেম বলেন, ট্রাস্টের ডিড করার সময় অঙ্গীকার করেছিলাম কেউ লাভ নেব না। এটি অলাভজনক প্রতিষ্ঠান। গত ২৮ বছর বিনা বেতনে বিশ্ববিদ্যালয় ট্রাস্টি সদস্যরা সময় ও শ্রম দিচ্ছি। এখন বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি গাড়ি ব্যবহার করলে সেটি কি বড় অপরাধ? আর গাড়িগুলো কেনা হয়েছে আন্তর্জাতিক অতিথিদের জন্য। আমরা মাঝে-মধ্যে ব্যবহার করছি।

বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থে কেনা বিলাসবহুল গাড়ি ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্যদের ব্যক্তিগত কাজে ব্যবহারকে নৈতিকতা-বিরুদ্ধ বলে মনে করেন শিক্ষাসংশ্লিষ্টরা। ট্রাস্টের অর্থে গাড়ি কিনে বিলাসিতা একেবারেই কাম্য নয় বলে জানান শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। তিনি বলেন, ট্রাস্টি শব্দটি এসেছে ট্রাস্ট থেকে। যারা ট্রাস্ট পরিচালনার দায়িত্বে থাকেন, তারাই তো ট্রাস্টি। ট্রাস্টের অর্থে গাড়ি কিনে বিলাসিতা একেবারেই কাম্য নয়। আর বিশ্ববিদ্যালয়ের তহবিলে এত অর্থ থাকলে তো প্রতিষ্ঠানের পেছনে ব্যয় করার কথা। শিক্ষার্থীদের সুযোগ-সুবিধা সম্প্রসারণ, শিক্ষার পরিবেশ ও মানোন্নয়ন এবং গবেষণায় এ অর্থ ব্যয় হওয়ার কথা। বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থ তো ট্রাস্টিদের ব্যক্তিগত কোনো সুবিধা নেয়ার জন্য নয়।

নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিলাসবহুল এসব গাড়ি ক্রয়ে শুল্ক ফাঁকি ও মানি লন্ডারিংয়ের অভিযোগও রয়েছে। শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তর (সিআইআইডি) বিষয়টি তদন্ত করে দেখছে। তদন্তের অংশ হিসেবে গত ১ সেপ্টেম্বর তথ্য চেয়ে নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয় রেজিস্ট্রারকে চিঠি দেয় সিআইআইডি। চিঠিতে বলা হয়, বিলাসবহুল রেঞ্জ রোভার গাড়িগুলো ক্রয় ও বরাদ্দের ক্ষেত্রে আর্থিক অনিয়মের অভিযোগ রয়েছে। এছাড়া গাড়িগুলো আমদানিতে মিথ্যা ঘোষণায় বিপুল পরিমাণ রাজস্ব ফাঁকির অভিযোগও রয়েছে। চিঠিতে গাড়ি ক্রয়, রেজিস্ট্রেশন, শুল্কায়ন ও অর্থ বরাদ্দসংক্রান্ত দলিলাদি প্রেরণের জন্য নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়কে অনুরোধ করে সিআইআইডি।

জবাবে নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জানায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য এবং শিক্ষা উন্নয়ন ও গবেষণার নিমিত্তে আসা বিদেশি অতিথিদের জন্য গাড়িগুলো কেনা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্রয় নীতিমালা অনুসরণ ও কোটেশনের বিপরীতে সর্বনিম্ন দরদাতার কাছ থেকে সাইট ডেলিভারির শর্তে গাড়িগুলো কেনা হয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের এ জবাবে সন্তুষ্ট হতে না পেরে গত ৭ নভেম্বর আবার চিঠি দেয় সিআইআইডি। সাতটি গাড়ি ক্রয়ের বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য জানতে চাওয়া হয় চিঠিতে। চিঠির উত্তর দিতে সময় চেয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

বিষয়টি নিশ্চিত করে কাস্টমস গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের কেনা গাড়িগুলোর বিষয়ে অনুসন্ধানের দুটি উদ্দেশ্য রয়েছে। একটি হচ্ছে কোনো ধরনের শুল্ক ফাঁকি দেয়া হয়েছে কিনা। অন্যটি নৈতিক দিক। কারণ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের আয়ের প্রধান উৎস শিক্ষার্থীদের বেতন-ফি। শিক্ষার্থীদের দেয়া অর্থে ট্রাস্টি সদস্যদের গাড়িবিলাস কতটা যৌক্তিক, সেটিও খতিয়ে দেখতে চাই আমরা। এজন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্রয় নীতিমালা ও সংশ্লিষ্ট বাজেটে গাড়ি কেনার বরাদ্দ-সংক্রান্ত তথ্য চেয়ে চিঠি দেয়া হয়েছে।

নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয় কোষাগার থেকে ট্রাস্টি সদস্যদের বিরুদ্ধে বড় অংকের আর্থিক সুযোগ-সুবিধা গ্রহণের তথ্যও পাওয়া গেছে। বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) সূত্রমতে, নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রাস্টি সদস্যরা একেকজন প্রতি অর্থবছর শুধু সিটিং অ্যালাউন্স বাবদই ৪০-৫০ লাখ টাকা নেন। ট্রাস্টি বোর্ডের সভায় প্রত্যেক সদস্য ১ লাখ টাকা করে অ্যালাউন্স নেন। এ টাকার ভ্যাটও বিশ্ববিদ্যালয় ফান্ড থেকে দেয়া হয়। এছাড়া বেশকিছু অপ্রয়োজনীয় কমিটি রয়েছে। ওইসব কমিটির সভা থেকে ৫০ হাজার টাকা করে অ্যালাউন্স নেন ট্রাস্টি সদস্যরা।

ইউজিসির সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক আবদুল মান্নান বলেন, ট্রাস্ট অ্যাক্ট ১৮৮২ ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইন—এ দুটি আইনের ভিত্তিতে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত। ট্রাস্ট অ্যাক্টে স্পষ্ট বলা হয়েছে, এখানে ট্রাস্টিরা অর্থের জোগান দিতে পারবেন, কিন্তু নিজের স্বার্থে কোনো অর্থ উত্তোলন কিংবা গ্রহণ করতে পারবেন না। তাই ট্রাস্টিদের বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে কোনো সুবিধা গ্রহণের সুযোগ নেই। এটা তো ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান নয়। ট্রাস্ট হচ্ছে অলাভজনক জনহিতকর প্রতিষ্ঠান। কিন্তু নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয় ট্রাস্টিরা সিটিং অ্যালাউন্স, বিদেশ ভ্রমণসহ নামে-বেনামে বড় অংকের অর্থ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে নেন। যদি তারা এসব অর্থ না নিতেন, তাহলে শিক্ষার্থীদের ব্যয় অনেক কমিয়ে আনা সম্ভব হতো।

ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য হয়ে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এভাবে সুবিধা নেয়ার সুযোগ নেই বলে মনে করেন খোদ ট্রাস্টি বোর্ডের কেউ কেউ। নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রাস্টি বোর্ডের প্রতিষ্ঠাকালীন সদস্য আবদুল আউয়াল বলেন, আমিও ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করেছি। কখনো ১০ টাকার ভাতাও গ্রহণ করিনি। ট্রাস্ট অ্যাক্ট ১৮৮২ অনুযায়ী গাড়ি কেনাসহ বড় অংকের অ্যালাউন্স নেয়ার কোনো সুযোগ নেই। বর্তমানে কয়েকজন সদস্য বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থ লুট করে খাচ্ছেন। তাদের বিরুদ্ধে সাবেক শিক্ষামন্ত্রীর কাছে আট-দশ দফায় লিখিত অভিযোগ দেয়া হয়েছে। তবে কোনো ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। এখন নতুন শিক্ষামন্ত্রী ব্যবস্থা নিলে বিশ্ববিদ্যালয় পরিবার উপকৃত হবে।

প্রশাসনিক ও আর্থিক অনিয়ম এবং স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ আছে বিশ্ববিদ্যালয়টির বিরুদ্ধে। অভিযোগ তদন্তে গত বছর ইউজিসিকে চিঠি দেয় শিক্ষা মন্ত্রণালয়। ইউজিসির সদস্য অধ্যাপক ড. দিল আফরোজা বেগমের নেতৃত্বে তদন্ত শেষে চলতি বছর শিক্ষামন্ত্রীর কাছে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়া হয়। ওই প্রতিবেদনেও বিশ্ববিদ্যালয়টির ট্রাস্টি বিষয়ে বলা হয়েছে, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইন, ২০১০ অনুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা হবে জনকল্যাণকামী ব্যক্তি, শিক্ষানুরাগী ব্যক্তি বা গোষ্ঠী, দাতব্য ট্রাস্ট ও প্রতিষ্ঠান। তবে বাস্তবে দেখা যাচ্ছে, নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির মতো কিছু বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্যোক্তাদের মধ্যে এসব গুণাবলি পরিলক্ষিত হচ্ছে না। সিটিং অ্যালাউন্স বিষয়ে ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, বিভিন্ন মিটিংয়ের সিটিং অ্যালাউন্স ও অন্যান্য ভাতাসংক্রান্ত ব্যয়ের সীমারেখা নির্দিষ্ট করে দেয়া উচিত। এখানে ক্ষমতার ভারসাম্য নেই। কোনো বিষয়ে কেউ প্রতিবাদ করলে চাকরিচ্যুত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। মাঝেমধ্যে দেখা যায়, শিক্ষক ও কর্মকর্তা-কর্মচারী স্বেচ্ছায় চাকরি ছেড়ে দেন অথবা চাকরিচ্যুত হন।


পাঠকের মন্তব্য দেখুন
স্কুল-কলেজ খুলছে রোববার, ক্লাস চলবে শনিবারও - dainik shiksha স্কুল-কলেজ খুলছে রোববার, ক্লাস চলবে শনিবারও নারীদের আইসিটিতে দক্ষ হতে হবে: শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী - dainik shiksha নারীদের আইসিটিতে দক্ষ হতে হবে: শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী ডিগ্রি তৃতীয় শিক্ষকদের এমপিওভুক্তির সভা ৩০ এপ্রিল - dainik shiksha ডিগ্রি তৃতীয় শিক্ষকদের এমপিওভুক্তির সভা ৩০ এপ্রিল সনদের কাগজ কীভাবে পায় কারবারিরা, তদন্তে নেমেছে ডিবি - dainik shiksha সনদের কাগজ কীভাবে পায় কারবারিরা, তদন্তে নেমেছে ডিবি কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে বুয়েটে সিসিটিভি ফুটেজে ধরা পড়লো হিজবুত তাহরীরের লিফলেট বিতরণ - dainik shiksha বুয়েটে সিসিটিভি ফুটেজে ধরা পড়লো হিজবুত তাহরীরের লিফলেট বিতরণ সাংবাদিকদের ঘুষ বিষয়ক ভাইরাল ভিডিও, ইরাব কোনো বিবৃতি দেয়নি - dainik shiksha সাংবাদিকদের ঘুষ বিষয়ক ভাইরাল ভিডিও, ইরাব কোনো বিবৃতি দেয়নি ফাঁসপ্রশ্নে প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগ, নজরদারিতে যারা - dainik shiksha ফাঁসপ্রশ্নে প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগ, নজরদারিতে যারা এইচএসসির ফল জালিয়াতির অডিয়ো ফাঁস - dainik shiksha এইচএসসির ফল জালিয়াতির অডিয়ো ফাঁস please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0041420459747314