কুষ্টিয়া সদর উপজেলার দোয়ারকাদাস আগরওয়াল মহিলা কলেজের এইচএসসি পরীক্ষার্থী নূপুর বিশ্বাস মায়া (১৭) টেস্ট পরীক্ষায় অকৃতকার্য হওয়ায় বিষপানে আত্মহত্যা করেছেন। মঙ্গলবার দুপুরে (১০ ডিসেম্বর) কলেজ অধ্যক্ষের কক্ষে এ ঘটনা ঘটে। তবে বিষপানের আগে বাড়িতে একটি চিরকুট লিখে যায় নূপুর। চিরকুটটি উদ্ধার করেছে পুলিশ।
নূপুর হরিণারায়রপুর এলাকার মাছ ব্যবসায়ী বাবুল হোসেনের মেয়ে।
কলেজের অধ্যক্ষ আসাদুজ্জামান বলেন, কয়েক দিন আগে এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের চূড়ান্ত পরীক্ষার রেজাল্ট দেয়া হয়। এতে চারটি বিষয়ে ফেল করে মানবিক বিভাগের ছাত্রী নূপুর। এর আগে সে দুই বিষয়ে ফেল করেছে বলে বাড়িতে জানায়। তাই তার মা তাকে সঙ্গে নিয়ে মঙ্গলবার দুপুরে কলেজে আসেন। এ সময় তার শিক্ষকরা জানান, চারটি বিষয়ে নূপুর ফেল করেছে। এর পর মা তাকে কিছুটা বকা দেয়।
এ সময় নূপুরের কথাবার্তা অসংলগ্ন ছিল। সে সোজা হয়ে দাঁড়িয়ে কথা বলতে পারছিল না। কথা বলতে বলতেই মাটিতে পড়ে যায় নূপুর। এ সময় তার কাছে থাকা একটি কাচের বোতল হাত থেকে ছিটকে পড়ে।
ধারণা করা হচ্ছে, ওই বোতলে বিষাক্ত কিছু নিয়ে এসেছিল মেয়েটি। এর পর কলেজের কয়েকজন শিক্ষক তাকে উদ্ধার করে স্থানীয় চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যান। তবে কলেজে আসার আগেই নূপুর বিষপান করে।
কলেজের শিক্ষক সেলিম জানান, কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে নেয়ার পথেই মারা যায় নূপুর।
নূপুরের মা লাভলী খাতুন বলেন, বাড়ি থেকে স্বাভাবিকভাবে আমার মেয়ে স্কুলে যায়। কলেজে যাওয়ার পর সে আর সোজা হয়ে দাঁড়াতে পারছিল না। কথা বলতে বলতেই মাটিতে পড়ে যায়। কলেজে যাওয়ার আগেই বিষপান করে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
নূপুরের বাবা বাবুল আহমেদ জানান, মেয়েটা আমার অভিমানী। নির্বাচনী পরীক্ষায় অকৃতকার্য হওয়ার কারণেই হয়তো অভিমানে বিষপান করেছে।
কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় থানার এসআই আরিফ বলেন, মৃত্যুর আগে নূপুর একটি পত্র লিখে যায়। কারও কোনো অভিযোগ ছিল না। জেলা প্রশাসকের অনুমতি নিয়ে ময়নাতদন্ত ছাড়া পরিবারের সম্মতিতে মরদেহ দাফন করা হয়েছে।