যশোরের অভয়নগরে বিয়ের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছে এক কলেজছাত্রী ও তার পরিবার। সোমবার (২০জানুয়ারি) দুপুরে নওয়াপাড়া প্রেসক্লাব অডিটোরিয়ামে ভুক্তভোগী কলেজপড়ুয়া মেয়েটি ও তার পরিবারের সদস্যরা সংবাদ সম্মেলন করেন। বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে শারীরিক সম্পর্ক হওয়ার পরও বিয়ে করতে অস্বীকার করায় তারা এ সংবাদ সম্মেলন করছেন বলে জানানো হয়।
ভুক্তভোগী পরিবারটি জানিয়েছে, স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের আশ্বাসেও বিষয়টির প্রতিকার হচ্ছে না। সম্ভ্রমহানি ও নগদ অর্থ হাতিয়ে নেয়ার লিখিত অভিযোগ থানায় দায়ের করা হলেও পুলিশ কার্যকর কোনো ভূমিকা রাখেনি বলেও জানানো হয় সংবাদ সম্মেলনে।
লিখিত বক্তব্যে জানা যায়, অভয়নগর উপজেলা বুনারামনগর গ্রামের মিকাইল মোড়লের ছেলে সজিব হোসেন (১৯) গত চার বছর ধরে শংকরপাশা গ্রামের আনোয়ার হোসেন খানের কলেজপড়ুয়া মেয়ের সঙ্গে প্রেম করে আসছে। পরে বিয়ের প্রলোভনে তাদের মধ্যে শারীরিক সম্পর্কও হয়। একপর্যায়ে মেয়েকে বিয়ের জন্য তার বাবার বাড়ি থেকে নগদ অর্থ, স্বর্ণালংকার নিয়ে আসার কথা বলে প্রেমিক সজিব হোসেন। প্রেমিকের কথা শুনে কলেজপড়ুয়া মেয়েটি গত ১৮জানুয়ারি তার বাবার বাড়ি থেকে নগদ ৮০ হাজার টাকা সজিবের হাতে তুলে দেয়। নগদ টাকা হাতে পেয়ে প্রেমিক সজিব বিভিন্ন অজুহাতে সটকে পড়ে।
বিষয়টি জানাজানি হলে এলাকার চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। পরে গত ১২জানুয়ারি বিকালে অসহায় মেয়েটি বিয়ের দাবিতে প্রেমিক সজিবের অভিভাবকদের ঘটনাটি খুলে বলে। সজিবের পরিবার মেয়েটিকে বুঝিয়ে শুনিয়ে তার বাবার বাড়িতে পাঠিয়ে দেয়।
সংবাদ সম্মেলনে মেয়েটির বাবা আনোয়ার হোসেন খান জানান, ‘আমি ছেলেটির পরিবার ও স্থানীয় সাবেক ইউপি মেম্বারকে বিষয়গুলো জানালে তারা আমার মেয়ের সঙ্গে ওই ছেলের বিয়ের আশ্বাস দেন। কিন্তু ছেলেটির পরিবার এখন বিয়ের বদলে নানা ধরনের তালবাহানা করে চলেছে।’
তিনি আরও জানান, এ অবস্থা চলতে থাকলে তার মেয়েটি আত্মহত্যার পথ বেছে নিতে পারে। তিনি তার মেয়ের বিয়ের বিষয়টি নিশ্চিত করতে ওই পরিবারের সুদৃষ্টি কামনা করেন। সংবাদ সম্মেলনে কলেজপড়ুয়া মেয়েটিসহ তার বাবা ও খালা উপস্থিত ছিলেন।
(ছবিতে বাবাকে চনো যায়। মেয়েটি ও তার খালা বোরখা পরা। এরকম ছবি যাবে??)