ঝালকাঠির কলেজছাত্রী বেনজির জাহান মুক্তা (১৯) নৃশংসভাবে খুন হওয়ার বিষয়ে পুলিশের কাছে স্বীকরোক্তি দিয়েছে গ্রেফতার হওয়া সোহাগ। শুক্রবার (৮ ফেব্রুয়ারি) সকালে সংবাদ সম্মেলন করে ঝালকাঠি জেলা পুলিশ সাংবাদিকদের কাছে এ তথ্য জানিয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, মোবাইল ফোনের মাধ্যমে পরিচয়, তারপর প্রেম । এরপর বিয়ের প্রস্তাব ফিরিয়ে দেয়ায় প্রতিশোধ নিতেই ঝালকাঠির কলেজ ছাত্রী মুক্তাকে জবাই করে হত্যা করা হয়। হত্যাকারী অভিযুক্ত সোহাগকে পুলিশ গ্রেফতার করলে সে এ স্বীকারোক্তি দিয়েছে।
ঝালকাঠির পুলিশ সুপারের সভাকক্ষে সংবাদ সম্মেলনে ঝালকাঠির ভারপ্রাপ্ত পুলিশ সুপার মো. জাহাঙ্গীর আলম সোহাগের ভাষ্যমতে সাংবাদিকদের জানান, সোহাগ ছাড়াও কলেজছাত্রী মুক্তার সাথে আরও কয়েক তরুণের মধ্যে একই সময় প্রেমের সম্পর্ক চলছিলো। এদিকে বিষয়টি বুঝতে পেরে সোহাগ ওই ছাত্রীকে বিয়ে করার জন্য প্রস্তাব দেয়। কিন্তু মুক্তা সে প্রস্তাব ফিরিয়ে দেয়। আর এতে ক্ষিপ্ত হয়েই পূর্ব পরিকল্পনা মতো প্রেমিকা বেনজির জাহান মুক্তাকে চাকু দিয়ে জবাই করে খুন করে পালিয়ে যায় প্রেমিক সোহাগ। সোহাগকে আদালতে তোলা হবে বলেও জানান, ভারপ্রাপ্ত পুলিশ সুপার মো. জাহাঙ্গীর আলম।
প্রসঙ্গত, গত সোমবার দুপুরে কলেজ থেকে বাড়ির ফেরার পথে ঝালকাঠির নলছিটি উপজেলার বারইকরণ গ্রামের কাপুড়িয়া বাড়ি এলাকায় ঝালকাঠি সরকারি মহিলা কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী বেনজির জাহান মুক্তাকে জবাই করে হত্যা করা হয়।
এ ঘটনায় অভিযুক্ত সোহাগকে বৃহস্পতিবার রাতে পটুয়াখালী জেলার কলাপাড়া উপজেলার চাকামইয়া গ্রাম থেকে গ্রেফতার করে ঝালকাঠি এনেছে পুলিশ। সোহাগ পটুয়াখালী জেলার কলাপাড়া উপজেলার নিশানবাড়িয়া গ্রামের আবদুস ছোবাহান মীরার ছেলে। তবে দীর্ঘদিন ধরে সোহাগ ঢাকায় অবস্থান করে একটি কারখানায় চাকরি করে আসছিলো।