বৃত্তির টাকা ব্যাংক অ্যাকাউন্টে পাঠাতে শিক্ষার্থীদের তথ্য চেয়েছে অধিদপ্তর

নিজস্ব প্রতিবেদক |

বৃত্তির টাকা শিক্ষার্থীদের নিজ নিজ ব্যাংক অ্যাকাউন্টে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। ২০১৯ খ্রিষ্টাব্দ ও এর পূর্বের মেধা ও সাধারণ বৃত্তি, সংখ্যালঘু ও উপজাতি উপবৃত্তি, প্রতিবন্ধী ও অটিস্টিক উপবৃত্তি ও পেশামূলক উপবৃত্তির টাকা সরাসরি শিক্ষার্থীদের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে পাঠানো হবে। বৃত্তির টাকা ব্যাংক অ্যাকাউন্টে পাঠাতে শিক্ষার্থীদের তথ্য চেয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর। আগামী ২০ জানুয়ারির মধ্যে বৃত্তিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের তথ্য নির্ধারিত ওয়েবসাইটে আপলোড করতে বলা হয়েছে প্রতিষ্ঠান প্রধানদের। মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর সূত্র দৈনিক শিক্ষাডটকমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।

এর আগে ২০ জানুয়ারির মধ্যে বৃত্তিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের অনলাইনে ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খোলার নির্দেশ দিয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর। ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ছাড়া অন্য কোনো পদ্ধতিতে বৃত্তির টাকা পাঠানো বা তোলা সম্ভব হবে না বলেও জানানো হয়েছে প্রতিষ্ঠানগুলোকে। 

শিক্ষা অধিদপ্তর সূত্র দৈনিক শিক্ষাডটকমকে জানায়, বৃত্তিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের তথ্য পাঠাতে প্রতিষ্ঠান প্রধানদের জন্য একটি ছক প্রকাশ করেছে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর। নির্ধারিত ছকটি ডাউনলোড করে তা শিক্ষার্থীদের তথ্য দিয়ে পূরণ করে ২০ জানুয়ারির মধ্যে নির্ধারিত লিংকে (https://forms.gle/tPamGsWWruopf7q7A) আপলোড করতে বলা হয়েছে। 

দৈনিক শিক্ষাডটকমের পাঠকদের জন্য ছকটি তুলে ধরা হল। 

ছকটি ডাউনলোড করুন:

সূত্র আরও জানায়, বৃত্তিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীর তথ্য আপলোডের ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীরা নিয়মিতভাবে অধ্যয়নরত কিনা তা নিশ্চিত হয়ে তথ্য পাঠাতে বলা হয়েছে প্রতিষ্ঠান প্রধানদের। এ বিষয়ে কোনো ভুল হলে তার জন্য প্রতিষ্ঠান প্রধানরা ব্যক্তিগতভাবে দায়ী থাকবেন। বৃত্তিপ্রাপ্ত কোনো শিক্ষার্থীর যদি পাঠবিরতি থাকে তাহলে শিক্ষা অধিদপ্তরের আদেশ ছাড়া তার তথ্য পাঠানো যাবে না। এছাড়া অনলাইনে ব্যাংক হিসাব নম্বর পূরণের ক্ষেত্রে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে প্রতিষ্ঠান প্রধানদের। শিক্ষার্থীদের বৃত্তির টাকা জি-টু-পি এর আওতায় অনলাইন পদ্ধতি ছাড়া পাঠানো বা তোলা সম্ভব হবে না। 

জানা গেছে, আগামী ২০ জানুয়ারি পর্যন্ত বৃত্তির টাকা পেতে শিক্ষার্থীদের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খোলা যাবে। আর ২০ জানুয়ারির মধ্যেই বৃত্তিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের তথ্য মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরে পাঠাতে বলা হয়েছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রধানদের।

জানা গেছে, শিক্ষার্থীদের বৃত্তির টাকা শিক্ষা বোর্ডগুলোতে পাঠানো হয়। কিন্তু বৃত্তির টাকা পেতে শিক্ষার্থীদের ভোগান্তি হওয়ায় সরাসরি জি-টু-পি এর আওতায় অনলাইনে শিক্ষার্থীদের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে পাঠাতে বলা হয়েছে। চলতি বছরের জুনে এ সিদ্ধান্ত নেয় অর্থ মন্ত্রণালয়। অর্থ মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্ত মোতাবেক নির্বাচিত শিক্ষার্থীদের তথ্য হালনাগাদ করেছে সরকার। অর্থ মন্ত্রণালয়ের এসপিএফএমএসপি প্রকল্পের এমআইএস টিম এবং এসইডিপির সমন্বিত শিক্ষা উপবৃত্তি বাস্তবায়ন টিম শিক্ষার্থীদের তথ্য হালনাগাদের কাজ করেছে।

সূত্র জানায়, অর্থ মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্ত মোতাবেক বৃত্তির টাকা ব্যাংকে পাঠাতে শিক্ষার্থীদের নিজ নিজ নামে অ্যাকাউন্ট খোলার নির্দেশ দিয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর। আগামী ২০ জানুয়ারির মধ্যে ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খুলতে বলা হয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের নিয়ন্ত্রণাধীন অনলাইন সুবিধা সম্পন্ন যে কোনো তফসিলভুক্ত ব্যাংকে শিক্ষার্থীদের নিজ নামে অ্যাকাউন্ট খুলতে হবে। আর ১৮ বছরের কম বয়সী শিক্ষার্থীদের বাবা-মা বা আইনসঙ্গত অভিভাবকের যৌথ নামে অনলাইন সুবিধা সম্পন্ন যে কোনো তফসিলভুক্ত ব্যাংকে ‘স্কুল ব্যাংক হিসাব’ বা অ্যাকাউন্ট খুলতে হবে।


পাঠকের মন্তব্য দেখুন
ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে জবি ছাত্রীর আত্মহত্যা: শিক্ষক-শিক্ষার্থী বহিষ্কার - dainik shiksha ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে জবি ছাত্রীর আত্মহত্যা: শিক্ষক-শিক্ষার্থী বহিষ্কার ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে জবি ছাত্রীর আত্মহত্যা: শিক্ষক-শিক্ষার্থী বহিষ্কার - dainik shiksha ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে জবি ছাত্রীর আত্মহত্যা: শিক্ষক-শিক্ষার্থী বহিষ্কার অবন্তিকার আত্মহত্যা: সাতদিনের মধ্যে তদন্ত সম্পন্নের আশ্বাস জবি উপাচার্যের - dainik shiksha অবন্তিকার আত্মহত্যা: সাতদিনের মধ্যে তদন্ত সম্পন্নের আশ্বাস জবি উপাচার্যের হয়রানির প্রতিকার চেয়েও ফল পাননি অবন্তিকা, অভিযোগ মায়ের - dainik shiksha হয়রানির প্রতিকার চেয়েও ফল পাননি অবন্তিকা, অভিযোগ মায়ের নতুন শিক্ষাক্রম: শিক্ষকদের কাছে প্রাইভেট না পড়লে মিলছে না মূল্যায়ন - dainik shiksha নতুন শিক্ষাক্রম: শিক্ষকদের কাছে প্রাইভেট না পড়লে মিলছে না মূল্যায়ন মূল্যায়ন বুঝলেও নৈপুণ্য অ্যাপে চ্যালেঞ্জের মুখে শিক্ষকরা - dainik shiksha মূল্যায়ন বুঝলেও নৈপুণ্য অ্যাপে চ্যালেঞ্জের মুখে শিক্ষকরা ‘পড়তে ও লিখতে’ শেখা প্রকল্প কেনো - dainik shiksha ‘পড়তে ও লিখতে’ শেখা প্রকল্প কেনো please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0026788711547852