বেতন ও পরীক্ষার ফি নেয়ার জন্য ছাত্রীদেরকে দিনভর প্রচণ্ড রোদের মধ্যে লাইনে দাঁড় করিয়ে রাখার অভিযোগ পাওয়া গেছে। গত সোমবার (১৭জুন) বেলা ১০টা থেকে রোদে দাঁড় করিয়ে চুয়াডাঙ্গা সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্রীদের বেতন ও ফি নেয় ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক লিমিটেডের চুয়াডাঙ্গা শাখা। এতে বেশ কয়েকজন মেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়ে। কোমলমতি শিশু শিক্ষার্থীদের এভাবে দীর্ঘক্ষণ রোদে দাঁড় করিয়ে রাখায় ক্ষুব্ধ হয়ে উঠেন অভিভাবকরা।
সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, চুয়াডাঙ্গা সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে প্রায় আড়াই হাজার ছাত্রী। এতদিন নির্ধারিত তারিখে নিজ নিজ ক্লাসে বসে স্কুলের বেতন ও ফি পরিশোধ করতো তারা। বেতন-ফি জমা দেয়ার নির্ধারিত তারিখে ক্লাস হয় না বলে স্কুল কর্তৃপক্ষ ব্যাংকের মাধ্যমে বেতন-ফি পরিশোধের ব্যবস্থা করে।
সোমবার সকাল ১০টা থেকে বিদ্যালয়টিতে ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংকের বুথ খুলে বেতন-ফি জমা নেয়া শুরু হয়। ছাত্রীরা প্রচণ্ড রোদের মধ্যে দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে তাদের বেতন-ফি জমা দিতে থাকে। এদিকে চুয়াডাঙ্গায় সোমবার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এই তাপমাত্রা ও রোদে বেশ কয়েকজন ছাত্রী অসুস্থ হয়ে পড়ে।
ছাত্রীরা অভিযোগ করেছে, তারা কেউ কেউ আধাঘণ্টা থেকে একঘণ্টা পর্যন্ত রোদে দাঁড়িয়ে আছে বেতন-ফি জমা দেয়ার জন্য। অভিভাবকদের কয়েকজন অভিযোগ করেন, এভাবে প্রচণ্ড রোদে মেয়েদের দাঁড় করিয়ে মাসিক বেতন আদায় খুবই অন্যায়।
ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক লিমিটেড, চুয়াডাঙ্গা শাখার ম্যানেজার (অপারেশন) সাইফুল ইসলাম জানান, সকাল ১০টা থেকে শুরু করে বেলা ৪টার মধ্যে শেষ হয় ছাত্রীদের বেতন আদায়। আজ (সোমবার) একটু সমস্যা হয়েছে, পরবর্তী সময়ে হয়তো এমনটি হবে না।
এ ব্যাপারে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক স্মৃতিকনা বিশ্বাসের কাছে জানার জন্য বিদ্যালয়ে গিয়ে তাকে পাওয়া যায়নি। মোবাইলে কল করলেও তার মোবাইল ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়।