স্বামীর বেতনের ৩০ শতাংশ স্ত্রীকে খোরপোষ হিসেবে দিতে হবে। যদি একজন ব্যক্তির আয়ের ওপর অন্য কেউ নির্ভর না থাকে তাহলে স্বামীর বেতনের এক-তৃতীয়াংশ পাবেন স্ত্রী।
সম্প্রতি এক নারীর বিবাহ বিচ্ছেদের পর ভরণপোষণের মামলার প্রেক্ষিতে এক রায়ে এমনটাই জানিয়েছেন দিল্লির হাইকোর্ট। আগের একটি রায়ের বিপরীতে করা স্ত্রীর আপিল আবেদনের পর বৃহস্পতিবার নতুন এ রায় দেন বিচারপতি সঞ্জিব সচদেব।
নতুন রায়ে বিচারপতি সচদেব বলেন, স্বামীর আয়ের ওপর অন্য কেউ নির্ভরশীল না হলে তার বেতনের এক-তৃতীয়াংশ ভরণপোষণের জন্য স্ত্রীকে দিতে হবে। খবর এনডিটিভির।
খবরে বলা হয়, ২০০৬ সালে সিআইএসএফ ইন্সপেক্টরের সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল ওই নারীর। একই বছরের ১৫ অক্টোবর তারা আলাদা হয়ে যান। এরপর ভরণপোষণের আবেদন জানিয়ে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন ওই নারী।
কোড অব ক্রিমিনাল প্রসিডিউর ১৯৭৩-এর ১২৫ ধারা মোতাবেক ২০০৮ সালের ফেব্রুয়ারিতে স্বামীকে নির্দেশ দেয়া হয়, মোট বেতনের ৩০ শতাংশ স্ত্রীকে ভরণপোষণ হিসেবে দিতে হবে। কিন্তু এ রায় মেনে নেননি ওই স্বামী।
এরপর স্বামী আদালতে ফের মামলা করেন। এরপর ট্রায়াল কোর্ট ৩০ শতাংশ থেকে ১৫ শতাংশ করে দিয়েছিলেন ভরণপোষণ। এরপর দিল্লি হাইকোর্টে ফের এ রায়কে চ্যালেঞ্জ করে নারী মামলা করেছিলেন। দীর্ঘদিনের শুনানি শেষে এদিন আদালত স্ত্রীর পক্ষেই রায় দিয়েছেন।