বেরোবি উপাচার্যের বিরুদ্ধে অন্যের লেখা নিজের নামে প্রকাশের অভিযোগ

বেরোবি প্রতিনিধি |

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক ও আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক প্রফেসর ড. সেলিম মাহমুদের একটি কলাম নিজের নামে প্রকাশের অভিযোগ উঠেছে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি প্রফেসর ড. নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহর বিরুদ্ধে। 

বিষয়টিকে চৌর্যবৃত্তি উল্লেখ করে ঢাবি অধ্যাপক সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে একটি ক্ষোভ ও নিন্দা প্রকাশ করে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন। বিষয়টি নিয়ে নেটিজেনরা বেশ সমালোচনা করেছেন।  

জানা যায়, সম্প্রতি ঢাকার সংসদ সদস্য হাজী সেলিমের ছেলে ইরফান সেলিমের নৌ বাহিনীর এক কর্মকর্তাকে মারধরের ঘটনায় কলাম লেখেন ঢাবি আইন বিভাগের অধ্যাপক ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক ড. সেলিম মাহমুদ।

যা বিভিন্ন গণমাধ্যমে ‘শেখ হাসিনার রাষ্ট্রে মাস্তানি চলবে না: সেলিম মাহমুদ’ শিরোনামে প্রকাশিত হয়।
 
কলামে তিনি উল্লেখ করেন, ‘এই ঘটনায় ( হাজী সেলিমের ছেলে গ্রেফতার) প্রমাণিত হয়েছে শেখ হাসিনার রাষ্ট্রে মাস্তানির কোনো জায়গা নেই। এটি কোনো নতুন ঘটনা নয়। জননেত্রী শেখ হাসিনার প্রতিটি পদক্ষেপেই বার বার প্রমাণিত হচ্ছে, এই রাষ্ট্রে নাগরিকদের নিরাপত্তা রয়েছে। কেউ নাগরিকদের উপর কোনো অন্যায় করে পার পাবে না। শেখ হাসিনার বাংলাদেশে কোন মাস্তানি চলবে না।’

কিন্তু গতকাল ‘শেখ হাসিনার রাষ্ট্রে সন্ত্রাসীর ঠাঁই নাই: ড. নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ’ শিরোনামে একটি অনলাইনে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি প্রফেসর ড. নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহর কলামে প্রকাশিত হয়। সেই লেখা বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারীরা ভিসি কলিমউল্লাহকে ট্যাগ করে শেয়ারও করেন। এতে করে সারাদেশসহ বিভিন্ন মহলে বেশ সমালোচনার ঝড় উঠে। 

এ বিষয়ে ঢাবি অধ্যাপক সেলিম মাহমুদ তার ফেসবুক স্ট্যাটাসে লিখেছেন, আমার একটা লেখা কে হুবুহু নকল করা হয়েছে। এটি কোন ধরনের কাজ আমি বুঝতে পারছি না। পুরো লেখাটিই আমার ২ দিন আগের একটি লেখার হুবুহু নকল যা বেশ কয়েকটি গণমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছিল। শুধু আমার নামের জায়গায় অন্য ব্যক্তির নাম যুক্ত করা হয়েছে। এটি চৌর্যবৃত্তি কিনা এই প্রশ্ন আমি আইনজ্ঞ এবং একাডেমিসিয়ানদের কাছে রাখলাম। 


এ বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক ও আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক প্রফেসর ড. সেলিম মাহমুদ বলেন, মূলধারার গণমাধ্যমে আমার যে লেখা প্রকাশিত হয়েছে সেটা আমার লিখিত বক্তব্য। সেটি হুবহু কপি করে একটি অনলাইন পত্রিকায় বেরোবি ভিসি প্রফেসর ড. নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহর বক্তব্য হিসেবে প্রকাশ করা হয়েছে।  তিনি যে কাজটি করেছেন সেটি অপরাধ। এ ধরনের কাজ একজন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক বা শিক্ষিত মানুষের কাছে কখনোই আশা করা যায় না।
 
এদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি প্রফেসর ড. নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহর বক্তব্যের জন্য তার দফতরে গেলে তাকে পাওয়া যায়নি। দফতর থেকে জানানো হয় তিনি ঢাকায় অবস্থান করছেন। ভিসি সাংবাদিকদের ফোন রিসিভ করেন না। এবিষয়ে তাকে একাধিকবার মোবাইল ফোনে কল করলে, ম্যাসেঞ্জার, হোয়াটসঅ্যাপে ফোন দিলে তিনি রিসিভ করেননি। ম্যাসেজে তার বক্তব্যর জন্য যোগাযোগ করা হলেও তিনি উত্তর দেননি। 


পাঠকের মন্তব্য দেখুন
এমপিও কোড পেলো আরো ১৪ স্কুল-কলেজ - dainik shiksha এমপিও কোড পেলো আরো ১৪ স্কুল-কলেজ নারীদের আইসিটিতে দক্ষ হতে হবে: শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী - dainik shiksha নারীদের আইসিটিতে দক্ষ হতে হবে: শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী হিটস্ট্রোকে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র তূর্যের মৃত্যু - dainik shiksha হিটস্ট্রোকে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র তূর্যের মৃত্যু পরীক্ষার নাম এসএসসিই থাকবে, ওয়েটেজ ৫০ শতাংশ - dainik shiksha পরীক্ষার নাম এসএসসিই থাকবে, ওয়েটেজ ৫০ শতাংশ ফরেনসিক অডিটে ফাঁসছেন দশ হাজার জাল সনদধারী - dainik shiksha ফরেনসিক অডিটে ফাঁসছেন দশ হাজার জাল সনদধারী কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্টের পিএইচডি ফেলোশিপ - dainik shiksha প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্টের পিএইচডি ফেলোশিপ সাংবাদিকদের ঘুষ বিষয়ক ভাইরাল ভিডিও, ইরাব কোনো বিবৃতি দেয়নি - dainik shiksha সাংবাদিকদের ঘুষ বিষয়ক ভাইরাল ভিডিও, ইরাব কোনো বিবৃতি দেয়নি জড়িত মনে হলে চেয়ারম্যানও গ্রেফতার: ডিবির হারুন - dainik shiksha জড়িত মনে হলে চেয়ারম্যানও গ্রেফতার: ডিবির হারুন সপ্তম শ্রেণিতে শরীফার গল্প থাকছে, বিতর্কের কিছু পায়নি বিশেষজ্ঞরা - dainik shiksha সপ্তম শ্রেণিতে শরীফার গল্প থাকছে, বিতর্কের কিছু পায়নি বিশেষজ্ঞরা please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0052769184112549