বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় (বেরোবি) ক্যাম্পাসে বেড়েছে বিষাক্ত সাপের উপদ্রব। শিয়াল-কুকুর এবং চোরের চেয়ে ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে সাপের উৎপাত। পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা না থাকা ও ক্যাম্পাসের ঝোপঝাড় নিয়মিত পরিষ্কারের অভাবে দায়ি করছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী এবং কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। সাপের আতঙ্কে অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ রয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের বিভাগীয় প্রধানের অফিস কক্ষ।
বিশ্ববিদ্যালয়ের মেয়েদের হল, ছেলেদের হল, সেন্ট্রাল লাইব্রেরি, শিক্ষকদের আবাসিক ভবন, মসজিদ, ক্যাফেটেরিয়া এবং বিভিন্ন একাডেমিক ভবনের আশেপাশে প্রচুর সাপের আনাগোনা লক্ষ করা গেছে। কয়েকদিনে এসব স্থানে কিছু বিষধর সাপ মারা হয়েছে বলে জানিয়েছেন শিক্ষার্থী এবং কর্মচারীরা।
জানা গেছে, রোববার বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদ থেকে নামাজ পড়ে বের হওয়ার সময় সাংবাদিকতা বিভাগের সাবেক শিক্ষার্থী (বিভাগের ১ম ব্যাচ) মানিক মিয়াকে বিষাক্ত সাপ কামড় দিয়েছে। গুরুতর অবস্থায় তাকে রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে (রমেক) ভর্তি করা হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী সূত্রে জানা যায়, রোববার শিক্ষক ডরমেটরির নিচে একটি সাপ দেখা যায়। এর আগেও কয়েকবার ওই ডরমেটরির আশেপাশে সাপ দেখতে পাওয়া যায়।
আবাসিক একজন শিক্ষক বলেন, শিক্ষকদের ডরমিটরিতে কোনো ধরণের নিরাপত্তা নেই। ডরমেটরির আশেপাশে প্রচুর সাপের উৎপাত। এত শঙ্কা নিয়ে বাইরে বের হওয়া মুশকিল হয়ে পড়েছে। এর আগে গতমাসে (জুলাই) ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের অফিস কক্ষ থেকে ৬/৭টি সাপের বাচ্চা বের করা হয়। তারও কয়েকদিন আগে একাডেমিক ভবন-৩ থেকে একটি সাপ মারা হয়। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে দ্রুত পদক্ষেপ না নিলে প্রাণহানির ঘটনা ঘটতে পারে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর আব্দুল্লাহ আল মাহবুব বলেন, বিষয়টি নিয়ে আমরা প্রক্টরিয়াল বডিতে আলোচনা করেছি। দ্রুত প্রশাসনের পক্ষ থেকে সমাধানে ব্যবস্থা নেবো।