কর্মক্ষেত্রে ইনক্রিমেন্ট, টাইম স্কেল, পদোন্নতি ও বেতন বৃদ্ধি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কর্মদক্ষতা বৃদ্ধিতে সহায়ক। কিন্তু অত্যন্ত পরিতাপের বিষয়, বেসরকারি কলেজ/মাদ্রাসার প্রভাষকগণ টাইম স্কেল/সিলেকশন গ্রেড না থাকায় বেতন বৈষম্যের শিকার। জাতীয় বেতন স্কেল ২০১৫ অনুযায়ী বেসরকারি কলেজের প্রভাষকগণ ৯ম গ্রেডে ২২০০০ টাকা বেতন পেয়ে থাকেন।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জারি করা প্রজ্ঞাপন ২০১৮-এ বেসরকারি কলেজ/মাদ্রাসার প্রভাষকদের পদোন্নতি বিষয়ে উল্লেখ করা হয় যে, প্রভাষকগণ একই পদে ১০ বছর চাকরির পর পরবর্তী গ্রেডে উন্নীত হবেন অর্থাত্ পরবর্তী গ্রেড ৮ম-এ বেতন ২৩০০০ টাকা পাবেন। তার মানে প্রভাষক পদে ১০ বছর চাকরির পর বাড়বে ১০০০ টাকা। আবার ৮ম গ্রেডে ৬ বছর চাকরির পর পরবর্তী গ্রেডে উন্নীত হবেন অর্থাত্ পরবর্তী গ্রেড ৭ম-এ ২৯০০০ টাকা বেতন পাবেন। কিন্তু জাতীয় বেতন স্কেল ২০১৫ জারি হওয়ার আগে প্রভাষকগণ একই পদে ৮ বছর চাকরি করার পর টাইম স্কেল পেয়ে বর্তমানে ৭ম গ্রেডে ২৯০০০ টাকা বেতন পাচ্ছেন। ফলে যাঁরা বর্তমানে প্রভাষক পদে চাকরি করছেন, তাঁদের ৭ম গ্রেডে ২৯০০০ টাকা বেতন পেতে হলে ১৬ বছর চাকরি করতে হবে। যা আগের প্রভাষকগণ ৮ বছরেই ৭ম গ্রেডে ঐ বেতন পেয়েছেন।
ইতিমধ্যে বেসরকারি শিক্ষকদের বার্ষিক ৫ শতাংশ ইনক্রিমেন্ট দেওয়া হয়েছে। তাই যাঁরা সদ্য প্রভাষক পদে যোগ দেবেন, তাঁরাও ৯ম গ্রেডে ২২০০০ টাকা এবং যাঁরা ১০ বছর ধরে এ পদে আছেন তাঁরাও ২২০০০ টাকা বেতন পাবেন। এই বৈষম্য শিক্ষকদের শ্রেণিকক্ষে পাঠদানে অনীহা সৃষ্টি করে। তাই এই বেতন বৈষম্য নিরসনে সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
লেখক: প্রভাষক, অর্থনীতি বিভাগ,হোসেনপুর আদর্শ মহিলা ডিগ্রি কলেজ,হোসেনপুর, কিশোরগঞ্জ।
সূত্র: দৈনিক ইত্তেফাক